আওয়ার ইসলাম: সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কাজ শুরু হলেও নতুন করে সামরিক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে দেশটিতে।
সিরিয়ার ইদলিব সীমান্তে তুর্কি সেনা মোতায়েনের জেরে মানবিজে সামরিক উপস্থিতি জোরদার শুরু করেছে সিরিয়ার আসাদ সরকার। ট্যাঙ্ক থেকে শুরু করে মোতায়েন করা হয়েছে ভারী অস্ত্র।
এদিকে, সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়ার মধ্যেই দেইর আল জোর প্রদেশে মার্কিন জোটের বিমান হামলায় নিহত হয়েছে ১১ বেসামরিক নাগরিক।
আঙ্কারার বরাতে জানা যায়, মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর সিরিয়ায় সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এই সেনা মোতায়েন। তবে আসাদ সরকারের অভিযোগ, ইদলিবে আশ্রয় নেয়া বিদ্রোহীদের রক্ষা এবং কুর্দি নির্মূলের জন্যই সেনা পাঠাচ্ছে তুরস্ক।
দেশটির এমন তৎপরতা রুখে দিতে মানবিজে এইমধ্যে সামরিক তৎপরতা জোরদার করেছে দামেস্ক। শনিবার মানবিজসহ আশপাশের এলাকায় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি মোতায়েন করা হয় ভারী অস্ত্র।
কমান্ডার বলেন, ‘আমরা মানবিজের চারদিকে অবস্থান নিয়েছি। পুরো এলাকা আমাদের নিয়ন্ত্রণে। বিদেশি শক্তির যেকোনো হামলা যেকোনো মুহূর্তে প্রতিহত করতে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত।’
মার্কিন সেনা সরিয়ে নেয়া হলেও নিজেদের নিরাপত্তায় সিরিয়ায় ইরানি সেনাবাহিনীর অবস্থানে হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল।
নিউইয়র্ক টাইমসকে দেয়া সাক্ষাতকারে ইসরায়েলি সেনাপ্রধান বলেন, ২০১৮ সালে সিরিয়ার সামরিক স্থাপনায় ২ হাজারের মতো বোমা হামলা চালানো হলেও নতুন বছরে তা আরো জোরদার করা হবে।
গত শুক্রবার রাতে দামেস্কের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লক্ষ্য করে দফায় দফায় হামলা চালানোর মধ্যেই এ ঘোষণা দিল তেল আবিব। সূত্র: নিউয়র্
-এটি