শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৪ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের যেকোনো প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাধীন ফিলিস্তিনের পক্ষে সমর্থন অটল বাংলাদেশের  গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে করিমগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল  ইসলামের আদর্শ প্রতিষ্ঠা ছাড়া কল্যাণ রাষ্ট্র সম্ভব নয়: পীর সাহেব চরমোনাই এবার নির্বাচনের রোডম্যাপ চাইল জামায়াতে ইসলামীও ৩ কর্মসূচি ঘোষণা করলেন কবি আল্লামা মুহিব খান মার্চ ফর গাজা" সফল করুন: খেলাফত আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ ৫০ আসন টার্গেট করে এগোচ্ছে জমিয়ত বেতুয়া হাশেমিয়া দারুস সুন্নাহ মাদরাসার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন `মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করুন: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা এখনো গণহত্যার হুমকিতে: জাতিসংঘ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মিয়ানমারে বসবাস করা হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান এখনো নিয়মিত নিপীড়নের শিকার হচ্ছে এবং তারা গণহত্যার ঝুঁকি মাথায় নিয়েই সেখানে বসবাস করছে বলে জানায় জাতিসংঘ।

সোমবার জাতিসংঘের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে আবারও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর শীর্ষ কয়েক জেনারেলকে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এখনো রাখাইন রাজ্যে প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গা ‘শোচনীয়’ অবস্থার মধ্যে বসবাস করছে। তাদের চলাফেরার ওপর

এত বেশি বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে যে, তার প্রভাব তাদের মৌলিক মানবিক চাহিদার ওপরও পড়েছে। এসব কারণে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী যাদের বেশির ভাগই বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে, তাদের রাখাইনে ফেরা অসম্ভব হয়ে উঠেছে।

অস্ট্রেলিয়ান মানবাধিকার আইনজীবী ও প্যানেল সদস্য ক্রিস্টোফার সিদোতি এক বিবৃতিতে বলেন, মিয়ানমারে বাস করা রোহিঙ্গারা এখনো গণহত্যার হুমকির মুখে। মিয়ানমার তাদের রক্ষায় এবং নিরাপত্তা বাহিনীর বিচারে ব্যর্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইন রাজ্যে কয়েকটি সীমান্ত পুলিশ পোস্টে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ হামলার পর সন্ত্রাস দমনের নামে সেখানে, বিশেষ করে রোহিঙ্গা মুসলমান অধ্যুষিত গ্রামগুলোয় সেনাবাহিনী গণহত্যা, ধর্ষণ এবং বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রাণ বাঁচাতে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাড়িঘর ছেড়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

সিডটি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিপীড়নের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গ যেভাবে নিষ্ক্রিয় থেকেছে তা হতাশাজনক, যার অবসান ঘটাতে হবে। যদি জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবারও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তবে দুঃখজনক এ ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটতেই থাকবে।’

-এএ


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ