বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬ নড়াইল-২ এনপিপির চেয়ারম্যানকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ ঢাকাস্থ বাজিতপুর-নিকলী উলামা পরিষদের মতবিনিময়, কর্মসূচি গ্রহণ মিসরে বাংলাদেশি ছাত্রদের সংগঠন ‘ইত্তিহাদ’-এর নতুন কমিটি দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের নিয়োগে ধর্ম উপদেষ্টার ডিও লেটার সুদানে জানাজায় হামলা, নিহত ৪০

মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা এখনো গণহত্যার হুমকিতে: জাতিসংঘ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মিয়ানমারে বসবাস করা হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান এখনো নিয়মিত নিপীড়নের শিকার হচ্ছে এবং তারা গণহত্যার ঝুঁকি মাথায় নিয়েই সেখানে বসবাস করছে বলে জানায় জাতিসংঘ।

সোমবার জাতিসংঘের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে আবারও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর শীর্ষ কয়েক জেনারেলকে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এখনো রাখাইন রাজ্যে প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গা ‘শোচনীয়’ অবস্থার মধ্যে বসবাস করছে। তাদের চলাফেরার ওপর

এত বেশি বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে যে, তার প্রভাব তাদের মৌলিক মানবিক চাহিদার ওপরও পড়েছে। এসব কারণে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী যাদের বেশির ভাগই বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে, তাদের রাখাইনে ফেরা অসম্ভব হয়ে উঠেছে।

অস্ট্রেলিয়ান মানবাধিকার আইনজীবী ও প্যানেল সদস্য ক্রিস্টোফার সিদোতি এক বিবৃতিতে বলেন, মিয়ানমারে বাস করা রোহিঙ্গারা এখনো গণহত্যার হুমকির মুখে। মিয়ানমার তাদের রক্ষায় এবং নিরাপত্তা বাহিনীর বিচারে ব্যর্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইন রাজ্যে কয়েকটি সীমান্ত পুলিশ পোস্টে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ হামলার পর সন্ত্রাস দমনের নামে সেখানে, বিশেষ করে রোহিঙ্গা মুসলমান অধ্যুষিত গ্রামগুলোয় সেনাবাহিনী গণহত্যা, ধর্ষণ এবং বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রাণ বাঁচাতে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাড়িঘর ছেড়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

সিডটি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিপীড়নের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গ যেভাবে নিষ্ক্রিয় থেকেছে তা হতাশাজনক, যার অবসান ঘটাতে হবে। যদি জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবারও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তবে দুঃখজনক এ ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটতেই থাকবে।’

-এএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ