সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ।। ২২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৭ জিলকদ ১৪৪৬


সৌদির জাজানে কোন পরিচর্চা ছাড়াই প্রাকৃতিক কফি বাগান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বেলায়েত হুসাইন।।

সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা জাজান। আর রিস পর্বতচূড়া এখানেই অবস্থিত। নানা ফলমূল ও পুষ্প বৃক্ষ বেষ্টিত সবুজ ও প্রাণবন্ত একটি এলাকা। এ চূড়ায় প্রাচীন একটি প্রাকৃতিক কফি বাগান রয়েছে। কোন কৃষকের তত্ত্বাবধান ছাড়াই কফির গাছগুলো ফল দেয় এবং মানুষ এ বাগানের কফি থেকে উপকৃত হয়।

সৌদি গণমাধ্যম আল আরাবিয়া জানায়, জাজানের জাবালুল কাহরে আর রিস চূড়ার অবস্থান। চূড়া থেকে জনবসতী বেশ দূরে। ফলে এখানের বাগান স্ব-উদ্যোগেই বেড়ে উঠে এবং ফুল, ফল ও বৃক্ষ দান করে। এখানের কফি বাগানটি খুবই চমৎকার। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা এরকম সুন্দর কফি বাগান সচরাচর চোখে পড়ে না। এখানের কফিকে ‘খাওলানি কফি’ আখ্যায়িত করা হয়। জাজান ছাড়াও অন্যান্য এলাকায় এ কফির খুব কদর। এজন্য আশপাশ অঞ্চলের অধিবাসীরাও এই বাগান থেকে কফির চারা সংগ্রহ করে নিজেরা পরিকল্পিত কফির বাগান সাজাচ্ছে।

মুছরি রিসি নামের স্থানীয় এক কৃষক জানান, কয়েক বছর আগে তার পিতা তাকে এ বাগান সম্পর্কে জানান। কিন্তু পিতা এ বাগানের সন্ধান পান আরো অনেক দিন আগে। শুরুতে এখানে মাত্র পাঁচটি কফি গাছ ছিল। তবে গাছগুলো না চেনার কারণে তার পিতা সেগুলো কেটে ফেলেন। কিছুদিন পর গোড়া থেকে নতুন চারা গজাতে থাকে এবং ততোদিনে তার পিতাও জানতে পারেন এগুলো কফি গাছ। তখন থেকে তিনি গাছগুলো দেখে রাখতে শুরু করেন। এখন কোন পরিচর্চা ছাড়াই বাগানে অন্তত সত্তরটি ফলদার গাছ হয়েছে। কফি আরব দেশগুলো সহ গোটা বিশ্বেই জনপ্রিয় এক পানীয়। এজন্য বাগানটি ঘিরে এখানের অধিবাসীরা খুব আশাবাদী।

প্রসঙ্গত, কফি আবিস্কারের অবদান মুসলিমদের। আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ ইথিওপিয়ার কাফা অঞ্চলের খালিদ নামের এক আরব বাসিন্দা সর্বপ্রথম কফি আবিস্কার করেন। বিশেষ দিনগুলোতে রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগি করার জন্য সুফি-সাধকদের মাধ্যমে কফি পান শুরু হয়।

সূত্র: আল আরবিয়া

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ