বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১০ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৫ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কালেকশন কি ভিক্ষাবৃত্তি?—দৃষ্টিভঙ্গির এক নির্মম বিকৃতি সুলতানপুর মাদরাসার ‘মুহিউস সুন্নাহ ভবন’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন সম্পন্ন সমমনা ইসলামি দলগুলোর সংলাপে সম্মিলিত ৫ ঘোষণা তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত কাশ্মিরে পর্যটকদের উপর হামলার ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা কাশ্মিরে নিরীহ পর্যটকদের হত্যার প্রতিবাদে মুসলিমদের বিক্ষোভ সংকটের একমাত্র সমাধান রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন: প্রধান উপদেষ্টা  প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে স্পেসএক্সের ভাইস প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ ভারতের ওয়াকফ বিল বাতিলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: আমিরে মজলিস ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের গণমিছিল

মুসলিমরা ভোট না দেয়ায় সংখ্যালঘু মোর্চা ভেঙে দিলো বিজেপি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ভারতের আসাম, পশ্চিমবঙ্গসহ ভোট হয়েছিল পাঁচ রাজ্যে। সেখানে আসামের বিধানসভা নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত জয় পেয়েছে বিজেপি।

কিন্তু সেই জয়ের পথে কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছে সংখ্যালঘু মুসলিম ভোট। রাজ্যটির মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় মোটেও অঙ্কটা মেলাতে পারেনি বিজেপি। তাই এবার ‘সংখ্যালঘু মোর্চা’ই ভেঙে দিল আসাম বিজেপি।

আসামের ১২৬টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৮ জন মুসলিম প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি। প্রত্যেকটাতেই লজ্জাজনক হার হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। লজ্জায় মাথা কাটা গেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের। তাই ঢাকঢোল পিটিয়ে মুসলিম ভোট টানার জন্য তৈরি করা ‘সংখ্যালঘু মোর্চা’ তুলেই দিল ভারতীয় জনতা পার্টি।

জানা গিয়েছে, মুসলিম অধ্যুষিত আসনগুলোর বেশীরভাগ বুথে ২০টিরও কম ভোট পেয়েছেন দলের প্রার্থীরা। এই সংখ্যা বিজেপির বুথ কমিটির সদস্যদের থেকেও কম। তার জেরে বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি।

একটি বিবৃতিতে আসামের বিজেপি সভাপতি রঞ্জিত দাস জানিয়েছেন, আমাদের অনেক মোর্চা আছে। যেমন, -মহিলা, যুব, নিচুজাত (এসটি) এবং অন্যান্য। তেমনি সংখ্যালঘু মোর্চাও রয়েছে। আমরা সংখ্যালঘু আসনগুলোয় মুসলিম প্রার্থী দিয়েছিলাম। ওই সমস্ত এলাকায় বহু বুথে প্রার্থীরা ২০টি ভোটও পাননি। যেখানে এর থেকেও বেশি সংখ্যায় রয়েছে বুথ কমিটির সদস্য সংখ্যা। তার মানে দলের কর্মীরাই বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন। তাই রাজ্য ও জেলা স্তরের সংখ্যালঘু মোর্চা কমিটি ভেঙে ফেলা হলো।

এ বিষয়ে আসাম বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার মুখতার হোসেন খান শুক্রবার বলেছেন, কোনো সংগঠন ভেঙে দেওয়া হলো তা আমি জানি না। আমার কাছ থেকে এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

একুশের আসাম বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পেয়েছে ৭৫টি আসন, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মহাজোট জিতেছে ৫০টি আসনে এবং একটি আসনে জয়ী হয়েছেন জেলবন্দি সমাজকর্মী অখিল গগৈ। যেখানে বিজেপি জোটের ৮ জন মুসলিম প্রার্থীই হেরেছেন, সেখানে কংগ্রেসের জোটের ৩১ জন মুসলিম প্রার্থী ভোটে জিতেছেন।

ভারতের পাঁচ রাজ্যে একসাথেই শুরু হয়েছিল বিধানসভা নির্বাচন। ২ মে ফল ঘোষণার দিন দেখা গেল শুধুমাত্র আসাম ও পদুচেরিতেই বিজেপি ক্ষমতায় ফিরেছে। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ুতে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে দলটি। তবে পশ্চিমবঙ্গে গতবারের তুলনায় ফল ভালো করেছে বিজেপি। গতবার বাংলায় যেখানে ৩টি আসন পেয়েছিল সেখানে এবার ৭৭টি আসন পেয়েছে। তবে পাঁচ রাজ্যের মধ্যে মোদি-শাহ-যোগীসহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতারা যেভাবে বাংলার মাটি কামড়ে পড়েছিল তাতে বিজেপির নৈতিক হার বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

-এটি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ