বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির  মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬

বাগানে ফল আসার পূর্বে কেনাবেচা করার বিষয়ে দেওবন্দের ফতোয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোস্তফা ওয়াদুদ: বর্তমান সময়ে দেখা যায়, অনেকেই বাগানে ফল আসার পূর্বেই বাগান বিক্রি করে দেয়। কেউ কেউ এক বছরের জন্য কিংবা দুই বছর, তিন বছরের জন্য বাগান বিক্রি করে দেয়। এ জাতীয় বাগান বিক্রি করা কি জায়েজ? দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইটে এমন একটি প্রশ্ন করেন জনৈক ব্যক্তি।

তিনি প্রশ্নে উল্লেখ করেন, যায়েদের ১০ বিঘা জমি রয়েছে গ্রামে। কিন্তু জায়েদ থাকে শহরে। আর শহরেই তিনি তার কাজে ব্যস্ত থাকেন। এজন্য গ্রামের বাগানের খোঁজখবর নেয়ার মতো সময় তার কাছে নেই। কোন বিশেষ লোকের মাধ্যমে বাগানের দেখভাল করবে তারও সুযোগ নেই। এ অবস্থায় যায়েদ তার বাগানকে দুই বছরের জন্য বিক্রি করে দেয়। দুই বছর পর মূল্য পরিশোধ করলে আবার দুই বছরের জন্য বিক্রি করে দেয়।

প্রশ্ন হল, এই জাতীয় কেনাবেচা করা কি শরীয়াত সম্মত? দ্বিতীয় প্রশ্ন, এ ধরনের না জানা বস্তুর উপর ভিত্তি করে আসা ফল সাধারণ মানুষের জন্য কেনার হুকুম কি? তৃতীয় প্রশ্ন, ওই বাগানের উপর কি যাকাত ওয়াজিব হবে? যদি হয় তাহলে কিভাবে?

দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে উক্ত প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, উল্লিখিত বাগান বেচার পদ্ধতি এটি মূলত বাগানের ফল বিক্রির সাথে সম্পৃক্ত। বর্ণিত মাসআলায় দেখা যায়, বাগানের মাঝে এখনো ফল আসেনি। এই কারণে না জানা জিনিস বিক্রি করা না জায়েজ। বেচা কেনার সময় বিক্রিত পণ্য উপস্থিত থাকা আবশ্যক। আর এখানে ফল উপস্থিত নেই। সুতরাং এ ধরনের কেনাবেচা করা না জায়েজ। যদি কেউ এই ধরনের কেনাবেচা করে থাকে; তাহলে যেন সেটি শেষ করে দেয়।

দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাব হলো, শরীয়তে অনুপস্থিত জিনিসের কেনাবেচা করা বাতিল। এধরনের কেনা বেচা যারা করে তাদের জন্য আবশ্যক হলো, ক্রেতাকে তার বিক্রিত মূল্য ফেরত দিয়ে দেওয়া। মূল্যে নিজের হাতে আসার পরও বিক্রেতা তার মালিক হয়নি।

এ কারণে যদি কারো বিষয়টা জানা যায় যে, সে উল্লেখিত বাতিল ফল কেনাবেচা করেছে। তাহলে এমন ক্রেতা থেকে ফল খরিদ করা জায়েয নেই।

তৃতীয় প্রশ্নের জবাব হলো, বাগানের উপর যাকাত আসবে না। বরং বাগানের উপর উশর অথবা নিচফে উশর ওয়াজিব। যদি বাগানটি উশরি জমিনের উপর হয়, তাহলে উশর প্রদান করা বাগানের মালিকের জন্য ওয়াজিব। কেননা ফলের আসল মালিক তিনিই। আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ