নুরুদ্দীন তাসলিম।।
ভারতের দখল করা কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী হুররিয়াত কমান্ডার বুরহান ওয়ানির ৫ম মৃত্যুবার্ষিকীতে ধর্মঘট পালন করছেন কাশ্মীরিরা। সর্বদলীয় হুররিয়াত আন্দোলনের পক্ষ থেকে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
শহীদ বুরহান ওয়ানি ও তার সাথীদের শাহাদাতের ঘটনাকে স্মরণ করে আজ অধিকৃত কাশ্মীর উপত্যকায় শোক দিবস পালন করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী কাশ্মীরিদের পক্ষ থেকে ‘শহীদ সপ্তাহ’ পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১৩ জুলাই পর্যন্ত পালন করা হবে ‘শহীদ সপ্তাহ’।
[caption id="" align="alignnone" width="401"] স্বাধীন ভূখন্ডের স্বপ্নে বিভোর কাশ্মীরি যুবক বুরহান ওয়ানি।[/caption]
১৯৩১ সালের সালের ১৩ জুলাই তৎকালীন ডোগরা রাজার সৈন্যদের গুলিতে নিহত কাশ্মীরি যুবকের স্মরণে সে দিনও হরতাল পালন করা হবে।
উল্লেখ্য ২০১৬ সালের 8 জুলাই স্বাধীন ভূখন্ডের স্বপ্নে বিভোর ২২ বছর বয়সী তরুণ, উদ্যমী কাশ্মীরি যুবক বুরহান ওয়ানিকে বন্দুকযুদ্ধের নামে খুন করে ভারতীয় দখলদার বাহিনী। ওই হত্যাকাণ্ডের পর কাশ্মিরের জনগণ প্রতিবাদে ফুঁসে উঠে। এ হত্যাকাণ্ডের জেরে এ পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ প্রায় ১০০ জন নিহত ও ১২ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, বুরহান ওয়ানির জানাজায় যে পরিমাণ মানুষের ঢল নেমেছিল তা মানুষকে অবাক করেছিল। কাশ্মীরের ক্ষুব্ধ যুবসমাজকে তিনি স্বাধীনতার পথে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
তিনি ফেসবুক-টুইটারের মাধ্যমে কাশ্মীরের নতুন প্রজন্মকে যেভাবে স্বাধীনতার পথে উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছিলেন তাতে তার পরিচিতি ছিল 'সোশ্যাল মিডিয়া মিলিট্যান্ট' নামে।
বুরহান ওয়ানি সম্পর্কে কাশ্মীরে একজন পুলিশ কর্মকর্তার মন্তব্য "ওয়ানির মধ্য কিছু ছিল, সে তরুণ সমাজকে তার পথে আনতে পেরেছিল"।
[caption id="" align="alignnone" width="416"] কাশ্মীরিদের হৃদয়ে বুরহান ওয়ানি।[/caption]
২০১৭ সালে বুরহান ওয়ানির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে উপত্যকাজুড়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল। গণবিক্ষোভ ঠেকাতে কঠোর সর্তকতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সেদিন রাজ্যে কারফিউ জারি করেছিল ভারতের দখলদার বাহিনী। কাশ্মিরের রাজপথে মোতায়েন করা হয়েছিল হাজার হাজার সেনাসদস্য।
এমন পরিস্থিতিতেও কারফিউ উপক্ষা করে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী তরুণরা। বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিবর্ষণ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের মধ্যেই তারা রাজপথে নামেন। বিক্ষোভকারীদের একজন শিক্ষার্থী ওমর ফারুক। আল জাজিরাকে তিনি বলেছিলেন, ‘বুরহানের স্থান আমাদের হৃদয়ে। তার শাহাদাতের পর বহু তরুণ লড়াইয়ে যোগ দিয়েছে।’
নিরাপত্তা রক্ষার নামে ভারত সরকার বরাবেরের মতো তখনও কাশ্মিরে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছিল।
সূত্র: জিও নিউজ।
এনটি