রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ।। ২১ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৬ জিলকদ ১৪৪৬


যারা পড়তে পারে না তারাও একসময় সংসদে যেতো, সেটি যেন না হয়: জামায়াত আমির

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

যারা পড়তে পারে না তারাও একসময় সংসদে যেতো, সেটি যেন না হয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান। শনিবার (৩ মে) সকাল ৯টায় রাজধানীর মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে দুদিনব্যাপী জেলা ও মহানগরী আমির সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


তিনি বলেন, ‘আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্বশীল ব্যবস্থায় নির্বাচন হতে হবে। বিশ্বের ৬২টি দেশ এটা অনুসরণ করে। বেশির ভাগ উন্নত দেশ, তারা এর সুফল পেয়েছে। এটা যারা একবার শুরু করেছে, তারা আর বাদ দেয়নি।’
 
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা ট্রেডিশনাল (প্রচলিত) নির্বাচন পদ্ধতি দেখেছি। এর মাধ্যমে সংসদের মধ্যে আইন প্রণেতা হিসেবে মনোনীত ব্যক্তিরা, যারা লেখা দেখে যারা পড়তে পারেন না—তারাও সংসদ সদস্য হয়েছে। তারা কি আইন রচনা করে বাংলাদেশের মানুষকে দিবেন? তারা কোন আইনটা সংস্কার সাধন করার মতো যোগ্যতা রাখেন?’

তিনি বলেন, এজন্য আমরা বলেছি যে, আনুপাতিক হারে সেখানে যাবে। যে যত পার্সেন্ট ভোট পাবে, সে ততো আসন পাবে। এতে করে কোনো দলকে ছোট এবং বড় বলার কারো সাহস হবে না। দল ছোট হউক বড় হউক দল দলই এবং কোন দল কারো দয়ার পাত্র হবে না। তার নিজের দল নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, অবশ্যই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হতে হবে। এই সুষ্ঠু এবং বস্তুনিষ্ঠতার স্বার্থে কতিপয় সংস্কার অবশ্যই করতে হবে। এ বিষয় আমরা আমাদের সুপারিশমালা সংশ্লিষ্ট কমিশনগুলোর কাছে পেশ করছি। আমরা সকল দলের প্রতি আহ্বান জানাবো রাজনীতি নিজের জন্য নয়। রাজনীতি দেশ এবং জনগণের জন্য। আমরা যত বেশি সহযোগিতা করব, জাতি তত বেশি উপকৃত হবে। ততটাই আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু এবং সুন্দর হবে।

জামায়াত আমির বলেন, ইতোমধ্যে আমরা বলেছি, অবশ্যই যারা অপরাধী তাদের বিচারটা দৃশ্যমান হোক—জাতি এটা দেখতে চায়। এ স্বল্প সময় সব বিচার করা সম্ভব নয়, এটা আমরাও বুঝি। কিছু বিচারতো করতে হবে। যাতে জাতির মনে আস্থা তৈরি হয়। যারা প্রধান অপরাধী তাদের বিচারের আওতায় এনে দৃশ্যমান বিচার জাতির সামনে অবশ্যই উপস্থাপন করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা সরকারের একটা দুর্বলতা লক্ষ্য করি, বিচারের ক্ষেত্রে আমরা আরও গতি চাই। সরকার বেশি তৎপর হয়ে এই কাজটা করবে, এটা আমরা দেখতে চাই। যদি এদের বিচার হয় তাহলে আগামী নির্বাচনেও কালো টাকা এবং পেশী শক্তির প্রভাব খাটাতে পারবে না। আর এ রকমের দুঃসাহস হয়তো কেউ দেখাবে না। কিন্তু বিচার যদি না হয় এর আশঙ্কা তো থেকেই যাবে।

আমরা এই নির্বাচনকে অর্থবহ করার জন্য এবং জনমতের শতভাগ প্রতিফলন ঘটানোর জন্য আমাদের দেশের সংসদকে মানসম্পন্ন  দেখতে চাই। এজন্য নির্বাচনকে পেশীশক্তি এবং কালো টাকার প্রভাবমুক্ত করতে হবে। 

জামায়াত আমির বলেন, ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং তাদের সঙ্গীরা বাংলাদেশকে শাসন এবং শোষণ করেছেন। পুরো সময় জুড়ে তারা এই দেশের বিরোধী দল, মত এবং বিশেষভাবে ইসলামপন্থী জনগণের উপর বিভিন্ন পর্যায় তাণ্ডব চালিয়েছে।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ