আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদি আরব ঘনিষ্ঠ জর্ডানের সাবেক দুই কর্মকর্তাকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ।
সোমবার জর্ডানের একটি আদালত ২১ জুন থেকে চলমান এই বিচারের রায় ঘোষণা করেন। এ তথ্য জানায় লন্ডনভিত্তিক গণমাধ্যম মিডল ইস্ট আই।
সামরিক ট্রাইব্যুনালে এ বিচার অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বেসামরিক বিচারকও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
এ দুই কর্মকর্তা হলেন— রয়েল কোর্টের সাবেক প্রধান বাসেম আওয়াদাল্লাহ এবং রাজপরিবারের সদস্য শরীফ হাসান বিন জায়েদ।
খবরে বলা হয়, চলতি বছরের এপ্রিলে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে এই দুই কর্মকর্তাকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এএফপির এক প্রতিবেদক বলেন, আদালত এই দুজনকে ‘শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে উসকানি দাতা’ ও ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ বলে দোষী সাব্যস্ত করেছেন।
এ ছাড়া অভিযোগপত্রে জর্ডানের সাবেক যুবরাজ এবং বাদশাহ আব্দুল্লাহর সৎ ভাই প্রিন্স হামজা ষড়যন্ত্রে সরাসরি জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সাজা পাওয়া দুই কর্মকর্তারই রয়েছে সৌদি আরবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এ ঘটনার পেছনে সৌদি আরবের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অস্বীকার করে এ ধরনের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে সৌদি আরব।
জর্দানে এপ্রিলে একটি অভ্যুত্থান চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়ার কথা জানায় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ব সম্প্রদায়কে অবাক করেছে এ ঘোষণা।
এর পর জর্ডানের সাবেক যুবরাজ এবং বাদশাহ আব্দুল্লাহর সৎভাই প্রিন্স হামজাকে গৃহবন্দি করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে আনা হয় দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা ভঙ্গ করার অভিযোগ।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৮ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয় ১৬ জনকে।
এনটি