শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ ।। ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৫ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
জ্ঞান ও প্রজ্ঞার আধার, বিশ্বমানের বাংলাদেশি আলেম চলে গেলেন আল্লামা সুলতান যওক নদভী এবার চা বাগানে ছবি তোলার সময় দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেলো বিএসএফ কর্মকর্তাদের মেরুদণ্ড শক্ত করে কাজ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর এখন মানুষ মন খুলে লিখছেন, সমালোচনা করছেন : প্রেস সচিব গাজায় ত্রাণ বহনকারী জাহাজে ইসরায়েলের হামলা কাশ্মীর হামলার পেছনে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা : দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন নারীবিষয়ক সংস্কার প্রস্তাব আগাগোড়া ইসলামবিরোধী: হেফাজতে ইসলাম পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে খাদ্য মজুতের নির্দেশ হেফাজতের মহাসমাবেশ সফল করতে সাভারে মোটর সাইকেল শোডাউন

মসজিদে প্রত্যাবর্তনের ১ বছরে আয়া সোফিয়াতে ভ্রমণ করেছে ৩০ লাখ মানুষ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কের ঐতিহাসিক আয়া সোফিয়া মসজিদে এক বছরে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ ভ্রমণ করেছে। সরকারি কর্মকর্তা সূত্রের বরাতে তুরস্কভিত্তিক ডেইলি সাবাহর খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের হাজিয়া সোফিয়াকে মসজিদে প্রত্যাবর্তনের ঘোষণাটি ছিল নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক। ২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিভিন্ন বিধিনিষেধ ছিল। তারপরেও আয়া সোফিয়া মসজিদের জনপ্রিয়তা যেকোনো সময়ের থেকে সর্বাধিক। গত এক বছরে মসজিদটিতে ৩০ লাখের বেশি মানুষ ভ্রমণ করেছেন।

মুস্তফা ইয়াভুজ নামে ঐতিহাসিক আয়া সোফিয়া মসজিদের প্রতিবেশী ‘ব্লু মসজিদের’ মুফতি বলেন, তুরস্ক এবং বিশ্বের মানুষদের জন্য আয়া সোফিয়া অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থনার জায়গা। এটা ইসলামি পরিচয়ের অংশ। বিভিন্ন দেশের ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে হাজিয়া সোফিয়া মসজিদে ভ্রমণকারীদের সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে।

ডেইলি সাবাহর খবরে বলা হয়েছে,আয়া সোফিয়া মসজিদের প্রতি তুরস্কের নাগরিকরাও ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছেন। গত ১ জুলাইয়ে তুরস্কে কারফিউ প্রত্যাহারের পর অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন মসজিদটিতে ভ্রমণ করছেন।

২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত আয়া সোফিয়া মসজিদে সপ্তাহের যেকোনো দিন অন্তত ৫ হাজার দর্শণার্থী ভ্রমণ করেছেন। আর সপ্তাহান্তিক দিনগুলোতে অর্থাৎ প্রত্যেক ছুটির দিনে অন্তত ১২ হাজার মানুষ হাজিয়া সোফিয়া মসজিদ পরিদর্শন করেছেন।

আয়া সোফিয়া নির্মিত হয় বাইজান্টাইন আমলে। মুসলমানরা ইস্তানবুল জয় করার পূর্বে এটি ৯১৬ বছর ধরে খ্রিস্টানদের গির্জা হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এরপর স্থাপত্যটি ১৪৫৩ সাল থেকে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫০০ বছর মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ১৯৩৪ সালে উসমানীয় সাম্রাজ্যের পতনের পর মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক স্বাক্ষরিত এক ডিক্রিতে মসজিদটিকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়। বিগত ৮৬ বছর ধরে এটি জাদুঘর হিসেবেই ছিল।

২০২০ সালের ১০ জুলাই তুরস্কের সর্বোচ্চ আদালত কামাল পাশার ওই ডিক্রি বাতিল করেন। এরপর প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান স্থাপনাটি মসজিদে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেন। গত বছরের মে মাসে ইস্তাম্বুল বিজয়ের বর্ষপূর্তিতে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান হাজিয়া সোফিয়াতে নামাজ আদায় করেন।

এনটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ