শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৯ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৪ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের যেকোনো প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাধীন ফিলিস্তিনের পক্ষে সমর্থন অটল বাংলাদেশের  গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে করিমগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল  ইসলামের আদর্শ প্রতিষ্ঠা ছাড়া কল্যাণ রাষ্ট্র সম্ভব নয়: পীর সাহেব চরমোনাই এবার নির্বাচনের রোডম্যাপ চাইল জামায়াতে ইসলামীও ৩ কর্মসূচি ঘোষণা করলেন কবি আল্লামা মুহিব খান মার্চ ফর গাজা" সফল করুন: খেলাফত আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ ৫০ আসন টার্গেট করে এগোচ্ছে জমিয়ত বেতুয়া হাশেমিয়া দারুস সুন্নাহ মাদরাসার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন `মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করুন: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

আমাদের টিকার কোনো অভাব নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ৬০ বছরের ওপরে যারা আছেন তাদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। আপনারা জানেন ইতোমধ্যে অনেক দেশেই বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশেও বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমাদের টিকার কোনো অভাব নেই। আমরা বুস্টার ডোজও দিতে পারব ইনশাআল্লাহ।

রোববার (০৫ ডিসেম্বর) সাভারের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যানেজমেন্টের নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, যারা এখন বিদেশে আছেন তাদের এই মুহূর্তে দেশে না আসাই ভালো। তারা যেন সংক্রমিত হয়ে দেশে না আসেন।যারা বিদেশ থেকে আসবেন তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। প্রবাসীদের তাদের পরিবারকে নিরাপদে রাখতে হবে, দেশকেও সুরক্ষিত রাখতে হবে। কাজেই আপনারা যেখানে আছেন সেখানেই নিরাপদে থাকুন।

তিনি বলেন, আমরা করোনার পরীক্ষা, কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা জোরদার করেছি। আমাদের দেশ ভালো আছে, নিরাপদে আছে। আপনারা জানেন, আমরা দুই থেকে তিনজন করে মৃত্যুর খবর পাই। এই অবস্থা থাকলে বাংলাদেশে মৃত্যুর হার শূন্যে নেমে আসবে।

আমরা যদি সচেতন থাকি, আক্রান্তরা যদি দ্রুত চিকিৎসা নেয় তাহলে মৃত্যুর হার শূন্যে নেমে আসবে। টিকা নেওয়া থাকলে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, নিরাপদে থাকবে। যদি আক্রান্তও হয় চিকিৎসা নিলে ভালো হয়ে যাবে। আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থাও এখন অনেক উন্নত।

তিনি আরও বলেন, জেলা শহরে আমরা বিভিন্ন কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছি, তারা যেন করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। বাইরে থেকে কেউ যদি আসে তাহলে তাদের কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জনবল বৃদ্ধি করার জন্য ইতোমধ্যে ৮ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। টিকা কর্মসূচি আরও বেগবান করা হয়েছে। আমরা প্রথম ডোজ ৭ কোটি দিয়েছি। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ডোজ ৪ কোটি দেওয়া হয়েছে। আজ টিকা প্রদান করা হলে ১১ কোটি ডোজ প্রদান করা হবে। এটাও একটা গণপ্রস্তুতি। কারণ ওমিক্রনকে যদি প্রতিরোধ করতে হয় তাহলে টিকা নিতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজি অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মাদ খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, অতিরিক্ত সচিব মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

স্থানীয়দের মধ্যে সাভার পৌরসভার মেয়র হাজী আব্দুল গণি, সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদাসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ