আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের নতুন বাজেটেও সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাবের বিপক্ষে মত দিয়ে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আগামী অর্থবছরের বাজেটে প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা ঘাটতির হিসেবের মধ্যে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব দেশের জনগনকে বিক্ষুব্ধ করে তুলবে।
(২৫ এপ্রিল) সোমবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করা হয়।
ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির বলেছেন, গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রায় ৭ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে অবস্থান করছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার দারিদ্র্য দূরীকরণ ও ভিক্ষুক পূনর্বাসনে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ না নিয়ে সরকারী চাকুরীজীবিদের বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে বৈষম্য সৃষ্টি হবে। নিন্ম আয়ের মানুষের জীবন যাত্রার ব্যায় আরো বৃদ্ধি পাবে। ফলে নিন্ম আয়ের মানুষ বিভিন্ন কারণে অপরাধে জড়িয়ে পড়ার অংশকা রয়েছে।
শহিদুল ইসলাম কবির আরো বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বেতন-ভাতায় সরকারের ব্যয় ছিল ২৮ হাজার ৮২০ কোটি টাকা, চলতি বাজেটে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৯ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা। আগামী বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ আরো বাড়িয়ে ৭৬ হাজার ৪১২ কোটি টাকা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। দারিদ্র্য সীমার নীচে অবস্থান করা দেশের ৭ কোটি মানুষ সরকারের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিবে না।
জনগনের মাথাপিছু ২৬ হাজার টাকার উপরে ঋন রেখে জনগণের রক্তচুষে ট্যাক্স আদায় করে সরকারি চাকরিজীবীদের খুশি করার সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
এনটি