নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বিষয়ে একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। সেখানে তিনি এভাবে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিশ্বাস ও কালচার পরিপন্থী ধারা যুক্ত করার সমালোচনা করেছেন। এই কমিশনে প্রগতিশীল ইসলামিক স্কলারদের রাখলে এভাবে বিতর্কিত বিষয় আসত না বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুলের সাক্ষাৎকারের ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তার এই বক্তব্য আলেম-উলামাসহ ইসলামপ্রিয় মানুষেরা দারুণ পছন্দ করেছেন। তারা বিভিন্ন সময় বিএনপি মহাসচিবের নানা বক্তব্যের সমালোচনা করলেও এই বক্তব্যটির ব্যাপক প্রশংসা করছেন।
নারী বিষয়ক কমিশনের সুপারিশ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, প্রফেসর ইউনূস সাহেব যে কমিশন করেছেন সেটার সুপারিশে বাংলাদেশের চিন্তা, বাংলাদেশের যে কালচার সেটা গুরুত্ব পায়নি। বাংলাদেশ রাতারাতি সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে হয়ে যাবে না। বাংলাদেশকে বাংলাদেশে যা আছে তাই নিয়ে চলতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখানে কুরআন ও সুন্নাহবিরোধী, শরিয়াহ আইনবিরোধী কোনো আইন করার কথা কেউ চিন্তাও করতে পারবে না। আমরাও পরিষ্কার বলেছি, (ক্ষমতায় গেলে) শরিয়াবিরোধী আইন করবো না। কারণ এখানে ৯০ ভাগ মানুষ হচ্ছে ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। তারা এটা চায় না এখানে শরিয়াবিরোধী কোনো আইন হোক।
মির্জা ফখরুল বলেন, যদি পরিবর্তন এমন হয়ে যায় যে, রাতারাতি সবাই সেক্যুলার হয়ে গেছে, এখানে ধর্মের কোনো প্রভাব নেই, তাহলে ভিন্ন কথা। ধর্মের প্রভাব তো এখানে আছে। এটাই রিয়েলিটি। সুতরাং এটাকে মাথায় নিয়ে আপনার কাজ করতে হবে। আপনি রাতারাতি করে ফেললেন, এখানে এটা থাকবে না, অমুক তমুক হবে না, সুতরাং রিঅ্যাকশন হবেই।
ফখরুল বলেন, উচিত ছিল এই কমিটির মধ্যে প্রগ্রেসিভ ইসলামি স্কলারদের রাখা। এটা করলে এই বিতর্ক সৃষ্টি হতো না।
এনএইচ/