শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫ ।। ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ২১ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বন্যা : পানি কমলেও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় খাদ্য ও পানির সংকট কাশ্মীরে ভয়াবহ বন্যা: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ ‘আশা করি নির্ধারিত সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারব’ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ. লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় আশেপাশে কঠোর অবস্থানে পুলিশ ১০৭ বছর বয়সেও চশমা ছাড়া কোরআন পড়তে পারেন নুর জাহান বন্যায় দুর্ভোগে তিস্তাপারের মানুষ, ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন অনেকে রাজধানীতে সরকারি সুকুক ও সামাজিক ব্যবসা নিয়ে বিশেষ ফিকহি মজলিস অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে একই পরিবারের ৪ জনের লাশ উদ্ধার ৪৭, ৭১ ও ২৪'র শহীদদের রক্তের সাথে যারা বেঈমানী করবে তারা গাদ্দার : জমিয়ত মহাসচিব উপকূল অঞ্চলে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

বন্যায় দুর্ভোগে তিস্তাপারের মানুষ, ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন অনেকে


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া তিস্তার পানি কমলেও দুর্ভোগ বেড়েছে নদীপারের মানুষদের। রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তাপারে সৃষ্ট বন্যায় পানিবন্দি পরিবারগুলো ঘরে ফিরতে পারেনি এখনও। সেতু প্রতিরক্ষা বাঁধ ধসে পড়ছে। ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করায় অনেকে তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার (৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও বেলা ১২টায় তা ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বেলা তিনটার পর থেকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। ফলে ভাটি এলাকাগুলোতে বন্যা দেখা দেয়। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সব কটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। তবে শুক্রবার সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। 

আগামী দু’দিন এই অঞ্চলে ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢল অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানা গেছে । এতে রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে স্বল্পমেয়াদি বন্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতু রক্ষা বাঁধটি গত দুই বছরের বন্যায় বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। গত কয়েকদিন ধরে নদীতে পানি বাড়া-কমায় সেতু রক্ষা বাঁধের প্রায় ৬০ মিটার জায়গায় ব্লক ধসে স্থানটিতে প্রায় ৭০ ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তীব্র স্রোত সরাসরি এসে আঘাত হানছে বাঁধের গায়ে। এতে নিচের অংশের মাটি ভেসে গিয়ে ধসে পড়ছে ব্লকগুলো। 

এমএম/ 


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ