শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

ছাদ থেকে পানি পড়া নিয়ে বিরোধে আপন ভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জের বসত-বাড়ির ছাদের পানি পড়াকে কেন্দ্র করে বিরোধে ভাইদের মরধরে আপন ভাই নিহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার উনশিয়া গ্রামের ঘোষ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে জানা গেছে, উনশিয়া গ্রামের মৃত সুধীর ঘোষের ছেলে ব্যবসায়ী আনন্দ ঘোষের (৪৫) সঙ্গে বাড়ির ছাদের পানি পড়া নিয়ে তার আপন ভাই গৌরাঙ্গ ঘোষ (৫২), কালা ঘোষ (৫০) ও যুগল ঘোষ (৩০) আগে থেকে বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিনে বৃষ্টি হওয়ায় আনন্দের সঙ্গে অপর তিন ভাইয়ের কথা কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে ভাই গৌরাঙ্গ, কালা, যুগল, ভাতিজা নয়ন ও সৌরভ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আনন্দকে আহত করেন। পরে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী তাকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতের স্ত্রী মিতা ঘোষ বলেন, ‘দিনে বৃষ্টি হয়েছে। ছাদ থেকে এই পানি পড়ায় রাতে আমার দেবর ও ভাসুররা বাড়িতে এসে আমার স্বামীকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।’

মৃতের স্কুলপড়ুয়া মেয়ে অথৈ ঘোষ বলেন, ‘আমার বাবা আমাকে নার্স বানাতে চেয়েছিল। আমারও নার্স হওয়ার স্বপ্ন ছিল। আমার সেই স্বপ্ন এখন আর পূরণ হবে না। আমার কাকা ও কাকাতো ভাইরা মিলে আমার বাবাকে হত্যা করেছে।

আমি আমার বাবাকে যারা হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাই।’
প্রতিবেশী বাচ্চু হাওলাদার বলেন, ‘এই ছাদের পানি পড়া নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতে একাধিকবার সালিশ-বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সালিশকারিদের কোনো সিন্ধান্তই তারা মানেন না। শেষ পর্যন্ত সামান্য ছাদের পানি পড়া নিয়ে ভাই, ভাতিজাদের হাতে আনন্দকে জীবন দিতে হলো।’
 
এ বিষয়ে জানার জন্য গৌরাঙ্গ, কালা বা যুগল ঘোষের বাড়িতে গিয়ে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।

কোটালীপাড়া থানার ওসি খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, ‘মৃতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে আনন্দ ঘোষের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে। অভিযোগ পাওয়ার পর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ