শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ ।। ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৩ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসনের প্রতিবাদে নেত্রকোনায় খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ সমাবেশ আওয়ার ইসলাম: পাঠকের চিন্তা ও চর্চার নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিসের সমাবেশ থেকে বিশ্ব মুসলিমকে ঐক্যের আহ্বান রাজধানীতে ১০ লাখ গাছ লাগাবে জামায়াত মুসলিম ভূখণ্ডে ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের পথে, বাংলাদেশের সঙ্গে নতুন পানি চুক্তির উদ্যোগ ভারতের প্রস্তুত হচ্ছে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ মঞ্চ ‘কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুবকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে’ জমিয়তের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শনিবার  অপহৃত মাদরাসা ছাত্রকে ৫ দিন পর উদ্ধার, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

আওয়ার ইসলাম: পাঠকের চিন্তা ও চর্চার নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: আওয়ার ইসলাম

জনপ্রিয় অনলাইন নিউজপোর্টাল ‘আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম’ শুরু থেকেই পাঠক-দর্শকদের জন্য ভিন্নধর্মী ও উপকারী উদ্যোগ নিয়ে হাজির হচ্ছে। তাদের লক্ষ্য কেবল নতুন কিছু উপস্থাপন নয়, বরং এমন কিছু দেওয়া—যা পাঠকের চিন্তা, জ্ঞান ও আত্মিক চর্চার জন্য বাস্তব উপকারে আসে। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আওয়ার ইসলাম আয়োজন করে বিভিন্ন শিক্ষনীয় ও বোধসম্পন্ন কার্যক্রম।
কখনো তা হয় তাৎক্ষণিক কুইজ, কখনো হয় মাসিক আয়োজন, আবার কখনো আয়োজন করা হয় জাতীয় পর্যায়ের বিতর্ক প্রতিযোগিতা। প্রতিটি উদ্যোগের পেছনে থাকে পাঠকের মেধা, যুক্তি ও মূল্যবোধ বিকাশের আন্তরিক চেষ্টার ছাপ।

গত রমজানে আয়োজন করা হয়েছিল ‘প্রতিদিনের মাসয়ালা’ নামক একটি বিশেষ প্রোগ্রাম। এখানে সহজ ভাষায় জীবনের সঙ্গে জড়িত মাসয়ালা-মাসায়েলের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়, যেন ধর্মীয় জ্ঞান সবার কাছে বোধগম্য ও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে।

পরবর্তী সময়ে আয়োজন করা হয় ‘হজ বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা’। প্রতিদিন একটি করে প্রশ্ন প্রকাশিত হতো ‘Our Islam TV’ ফেসবুক পেজে, আর দর্শক-শ্রোতারা কমেন্টবক্সে উত্তর দিতেন। এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল—মানুষকে জ্ঞানের আনন্দে উদ্বুদ্ধ করা। যেন প্রতিযোগিতার আনন্দের সঙ্গে সঙ্গে তারা কিছু নতুনও শিখতে পারেন।

সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত আয়োজন ছিল ‘জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২৫’। ‘স্বীকৃতির বাস্তবায়ন কেন প্রয়োজন? আর বাস্তবায়ন না হলে তার ক্ষতি কী?’ এই বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী ইস্যু সহজ ভাষায় মানুষের সামনে উপস্থাপন করাই ছিল এই বিতর্ক প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য।

এই প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খ্যাতিমান কবি ও দার্শনিক মুসা আল হাফিজ , বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি মুনীরুল ইসলাম এবং সভাপতিত্ব করেন আওয়ার ইসলাম সম্পাদক হুমায়ুন আইয়ুব।

আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন রাজধানীর বিভিন্ন মাদরাসা থেকে আসা ৮ জন তরুণ বিতার্কিক, যারা প্রত্যেকে ছিলেন যুক্তিশীলতা, সাহস ও চিন্তাশীলতা দিয়ে পরিপূর্ণ।

প্রতিযোগী কাজী যিমাম আহমাদ বলেন- ‘২৬ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আয়োজিত হয় একটি অসাধারণ ও প্রাণবন্ত অনুষ্ঠান-জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২৫’। এটি কেবল যুক্তির প্রদর্শনী ছিল না, বরং ছিল চিন্তার জোয়ার এবং নতুন প্রজন্মের আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠস্বরের এক গৌরবময় মঞ্চ। পক্ষ ও বিপক্ষ উভয় দলই দেশ, শিক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে কেন্দ্র করে নিজেদের যুক্তি সাজিয়েছেন। কেউ স্বীকৃতিকে সম্ভাবনা হিসেবে দেখেছেন, কেউ আবার ভবিষ্যৎ ঝুঁকির প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। আমার প্রত্যাশা—এমন আয়োজন নিয়মিত হোক। কারণ আজকের তার্কিকরাই আগামী দিনের নীতিনির্ধারক, সমাজ সংস্কারক ও নেতৃত্বের প্রবর্তক হয়ে উঠবেন।’

বিতর্কের মঞ্চে গভীর আবেগ ও যুক্তিনির্ভর বক্তব্য দেন আরেক প্রতিযোগী মুজাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন— ‘আওয়ার ইসলামের এই বিতর্ক ছিল হৃদয়ের টান আর যুক্তির লড়াইয়ের অপূর্ব সমন্বয়। বিতর্ক আমার প্রাণের মতো প্রিয়। সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর সাহস আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুক্তির আগুন ছুড়ে দেওয়ার যে আনন্দ, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তবে এই ভালোবাসার ভেতরে আরও একটি নাম বিশেষভাবে জায়গা করে নিয়েছে—‘আওয়ার ইসলাম’।

তাদের এই আয়োজন আমাকে শুধু প্রতিযোগিতার মঞ্চ দেয়নি, দিয়েছে নতুনভাবে ভাবার দিগন্ত। আজকের তরুণ সমাজে যে বিশুদ্ধ ইসলামি চিন্তার ঘাটতি রয়েছে, তা পূরণে এই আয়োজন যেন আশার আলো হয়ে উঠেছে। বিতর্ক মঞ্চে দাঁড়িয়ে আমি অনুভব করেছি—আমি শুধু একজন প্রতিযোগী নই, বরং ইসলামের একজন ক্ষুদ্র দাঈ। যুক্তির মাধ্যমে সত্যের আলো ছড়িয়ে দেওয়ার যে সুযোগ আমি পেয়েছি, তার জন্য আমি ‘আওয়ার ইসলাম’-এর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত আরেক প্রতিযোগী আওয়ার ইসলামকে বলেন— ‘আলহামদুলিল্লাহ! ‘কওমি স্বীকৃতি বাস্তবায়ন’ বিষয়ক জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে আমি গভীরভাবে অনুপ্রাণিত। এটি কেবল একটি অনুষ্ঠান ছিল না—বরং কওমি সমাজের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ও ন্যায্য দাবির একটি বলিষ্ঠ উচ্চারণ। প্রধান অতিথি কবি মুসা আল হাফিজ এবং বিশেষ অতিথি কবি মুনীরুল ইসলামের প্রজ্ঞাপূর্ণ ও হৃদয়গ্রাহী বক্তব্য আমাকে গভীরভাবে স্পর্শ করেছে।

সভাপতির আসনে থাকা হুমায়ুন আইয়ুব-এর সুশৃঙ্খল পরিচালনায় পুরো অনুষ্ঠানটি পেয়েছে গতি ও সৌন্দর্য। প্রতিযোগীদের আত্মবিশ্বাস, যুক্তি ও সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা আমাকে নতুনভাবে আশাবাদী করেছে। নিঃসন্দেহে, এই আয়োজন ছিল এক চিন্তা-উদ্দীপক অভিজ্ঞতা, যা তরুণ সমাজকে পথ দেখায় যুক্তি, মূল্যবোধ এবং সাহসিকতার আলোয়। ‘আওয়ার ইসলাম’-এর এমন সময়োপযোগী উদ্যোগ অব্যাহত থাকুক—এই অধমের হৃদয়ের প্রার্থনা।’

আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম সবসময় মানুষের অধিকার, সত্য ও ইসলামী মূল্যবোধ নিয়ে কথা বলে। হোক সেটা বিতর্ক প্রতিযোগিতা, হোক কুইজ কিংবা হোক মাসয়ালার সহজ ব্যাখ্যা—সবকিছুতেই থাকে পাঠকের চিন্তা ও আত্মিক চর্চাকে প্রসারিত করার আন্তরিক প্রচেষ্টা।

সামনের দিনগুলোতে ‘আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম’ আরও সুন্দর, চিন্তাশীল ও শিক্ষনীয় আয়োজন নিয়ে হাজির হবে—এই প্রত্যাশা পাঠক-দর্শক-শুভানুধ্যায়ী সবার।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ