মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫ ।। ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৮ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
"শাপলা গণহত্যার বিচার দ্রুত নিশ্চিতের আহ্বান ছাত্র জমিয়ত ঢাকা মহানগরের" ওয়াকফ পিটিশনের শুনানি স্থগিত রাখল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গাজার শিশুদের জন্য ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক হচ্ছে পোপের গাড়ি গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা চলছেই পৃথিবীর একমাত্র মসজিদ যার নাম আল্লাহ নিজেই রাখেন নতুন ভূমি আইনে যে অপরাধ গুলো করলে ৭ বছরের কারাদণ্ড জি-মেইল ব্যবহারকারীদের জন্য বড় বিপদ! বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ যারা ফ্যাসিস্টকে ফেরাতে চান তাদের তালিকা শিবিরের কাছে রয়েছে: জাহিদুল ইসলাম "হামাস থেকে মুক্তির পর ইসরায়েলে ধর্ষণের শিকার শেম" পুতিনের আমন্ত্রণে রাশিয়া যাচ্ছেন শি জিনপিং, ট্রাম্পের কপালে চিন্তার ভাঁজ!

পাকিস্তানের যে ‘গোপন অস্ত্র’ ঘুম কেড়ে নিচ্ছে ভারতীয়দের!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা মারাত্মক রূপ নিয়েছে। সীমান্তে টানা ১১ দিন ধরে গোলাগুলি, যুদ্ধের আশঙ্কা, পাল্টাপাল্টি প্রস্তুতি—সব কিছু মিলিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় আবারও যুদ্ধের আশঙ্কা ঘনীভূত হয়েছে।

এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ভারতের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মধ্যে নতুন উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে পাকিস্তানের একটি আধুনিক অস্ত্র Airborne Early Warning and Control Systems (AEW&C) বা এওয়াক্স। এটি বিমানে স্থাপিত একটি রাডার সিস্টেম, যা আকাশে ভাসমান অবস্থায় শত্রু বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য হুমকি শনাক্তে অসাধারণ দক্ষতা রাখে।

পাকিস্তানের হাতে থাকা ১১টি AEW&C বিমানে সুইডেনের উন্নত ‘Ericsson Erieye radar’ সজ্জিত। এগুলো পাকিস্তানের আকাশে মোবাইল কমান্ড সেন্টার হিসেবে কাজ করে। সীমান্তে ভারতীয় জেট ঢুকলেই, তা দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হয়।

এই তথ্যের ভিত্তিতে পাকিস্তান দ্রুত সক্রিয় করতে পারে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, যা ভারতীয় মিসাইল বা বিমানকে মাঝ আকাশেই গুঁড়িয়ে দিতে পারে।

ভারতীয় বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা মনে করেন, এই রাডার প্ল্যাটফর্ম না ধ্বংস করা পর্যন্ত পাকিস্তানের আকাশে অভিযান চালানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এটি শুধু নজরদারিই নয়, যুদ্ধক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রেও তাৎক্ষণিক সুবিধা দেয়।

এই পর্যায়ে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের AEW&C ব্যবস্থার মাধ্যমে তারা কৌশলগতভাবে কিছুটা এগিয়ে আছে। ভারত এ ব্যবস্থাকে অকার্যকর না করলে, পেহেলগাম হামলার প্রতিশোধ নেয়াও হবে জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ। দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে এখন শুধু যুদ্ধবিমান নয়, তথ্য প্রযুক্তি ও রাডার ক্ষমতার লড়াইও চলছে।

 এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ