১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের গণহত্যার পর এক রাতে সংঘটিত সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যা ছিল ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ। এই হত্যাকাণ্ড কেবল আওয়ামী লীগ সরকারের নয়, বরং ভারতসহ একাধিক বিদেশি শক্তির যৌথ ষড়যন্ত্রে পরিচালিত হয়েছিল। বক্তারা আরও বলেন, এরা কেবল শাপলার গণহত্যায়ই সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং পিলখানা বিডিআর হত্যাকাণ্ড, ২০২১ সালের গুলিবর্ষণ এবং ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার ওপর পরিচালিত নির্মম বর্বর হামলাও একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা।
৫ মে (সোমবার) বিকেল ৪টায় পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে শাপলা চত্বরে সংঘটিত ইতিহাসের অন্যতম জঘন্য গণহত্যার শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মুফতি মাহবুবুল আলম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, ছাত্র জমিয়তের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি সাব্বির আহমদ।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্র জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক কাউসার আহমদ।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ ৯ মাস অতিক্রম করলেও স্বৈরাচারী ও খুনি হাসিনার নেতৃত্বে সংঘটিত এই গণহত্যার বিচার তো হয়নি, বরং হত্যাকারীদের দোসরদের জামাই আদরে জামিন দিয়ে মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে।
অতএব, বক্তারা অবিলম্বে একটি আন্তর্জাতিক মানের ট্রাইবুনাল গঠনের মাধ্যমে শাপলা চত্বরসহ বিগত সকল গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান।
বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব জমিয়ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা কালিম মাহফুজ, ছাত্র জমিয়তের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মারুফ বিল্লাহ আমীনি, পাঠাগার সম্পাদক ইনআমুল হাসান নাঈম, সাহিত্য সম্পাদক হাসান মাহমুদ।
আরো বক্তব্য রাখেন ছাত্র জমিয়ত ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সাধারন সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ, জামিয়া মাদানীয়া বারিধারা ক্যাম্পাস প্রতিনিধি কামরুল ইসলাম, জামিয়া মাহমুদিয়া প্রতিনিধি তানভীর আহমেদ, দারুল উলুম জহুরুল ইসলাম প্রতিনিধি মুছা কালিমুল্লাহ সহ প্রমূখ।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর চার শাখার দায়িত্বশীলবৃন্দ।
এনএইচ/