বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫ ।। ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১২ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে ইসিকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের চিঠি জুলাই ঘোষণাপত্রে উপেক্ষিত শাপলা ট্রাজেডি, ক্ষুব্ধ ইসলামপন্থীরা দারুল উলুম দেওবন্দে ইসলাহি মজলিস অনুষ্ঠিত জুলাই ঘোষণাপত্রে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি: নেজামে ইসলাম পার্টি বাসচাপায় ইসলামী আন্দোলন নেতা নিহতের ঘটনায় বিচার দাবি নির্বাচিত সরকার ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়: মেজর হাফিজ জুলাই ঘোষণাপত্রে শাপলা গণহত্যা উপেক্ষিত : হেফাজত হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ চ্যাটে নতুন স্ট্যাটাস ফিচার নির্বাচনের জন্য যত টাকা লাগবে, তা দেওয়া হবে: অর্থ উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্রে শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম রাখা হয়নি: মির্জা আব্বাস

নির্বাচনের জন্য যত টাকা লাগবে, তা দেওয়া হবে: অর্থ উপদেষ্টা


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন আয়োজনের জন্য অর্থ বরাদ্দে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “নির্বাচনের জন্য যত টাকা লাগবে, তা দেওয়া হবে। অর্থনৈতিক দিক থেকে এ নিয়ে কোনো সংকট নেই।”

বুধবার (৬ আগস্ট) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগের দিন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক হার প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “ওরা যেটা করেছে, মোটামুটি। স্বস্তির জায়গা বলা যাবে না। তবে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় বাংলাদেশ খুব খারাপ অবস্থানে নেই।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের নিটওয়্যার ও রেডিমেড পোশাক খাত দ্রুত সমন্বয় করতে পারবে। তবে উইভিং (বোনা) খাত কিছুটা সমস্যায় পড়তে পারে।”

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এটা এখনও সই হয়নি। তবে আলোচনা চলছে। ইউএস চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক। শেভরন ও মেটলাইফের অর্থ ফেরত না আটকে দেওয়ায় তারা সন্তুষ্ট।”

তিনি জানান, “চুক্তি সই হলে শুল্ক হার কোথায় কতটা কমাতে হবে, কী কী পণ্য আমদানি করতে হবে—এসব নিয়েও সমন্বয় হবে। এটা বহুপক্ষীয় আলোচনা নয়, একান্ত (ওয়ান-টু-ওয়ান) আলোচনার বিষয়। এখানে অনেক কিছুই প্রকাশ করা যায় না।”

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “গত এক বছরে অর্থনীতি অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এটা বোঝার জন্য গভীর অন্তর্দৃষ্টি দরকার। অনেক ক্ষেত্রেই অগ্রগতি হয়েছে, যা সব সময় বাইরে থেকে ধরা পড়ে না।”

তবে তিনি স্বীকার করেন, “মূল্যস্ফীতি, কর্মসংস্থান, জ্বালানি খাত, শুল্ক কাঠামোসহ এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং ধীর গতির বাণিজ্যে গতি আনা।”

মূল্যস্ফীতি নিয়ে তিনি বলেন, “সামান্য স্বস্তির দিকে এগোচ্ছে। তবে একে টেনে ধরার মতো বিষয় নয়, সময় দিতে হবে।”

সংস্কার কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কিছু সংস্কার ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। কিছু মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বাস্তবায়ন হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক একটি রোডম্যাপ তৈরি করছে। ব্যাংক রেজল্যুশনের মতো বিষয়গুলো সময়সাপেক্ষ। পুঁজিবাজারে কিছু উন্নতির চেষ্টা চলছে এবং এনবিআরের অধ্যাদেশও কিছুটা সংশোধনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।”

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ