বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ২০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
সমকামী এক্টিভিস্ট কর্তৃক দুই শিক্ষককে হত্যার হুমকির তীব্র নিন্দা  গাজা গণহত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি: আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট গণঅভ্যুত্থানে অগ্রভাগে ছিল মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা: ধর্ম উপদেষ্টা আ.লীগকে নির্বাচনে ফেরাতে চাইলে আবারও ‘অভ্যুত্থান’ হবে গণঅভ্যুত্থান ছাড়া ফ্যাসিবাদ সরানো যায় না: মাহমুদুর রহমান আওয়ার ইসলামের উদ্যোগে সিরাতুন্নবী সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা, লক্ষাধিক টাকার পুরস্কার মা-বাবা ও উসতাদের সম্মানে দাঁড়ানো কি জায়েয? রাজধানীতে আবারও শক্তির জানান দিলো জামায়াত ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের সুখবর দিলেন সচিব জুলাই ঘোষণাপত্রের আলোকেই নির্বাচন দিতে হবে: জামায়াত নায়েবে আমির

মসজিদের ইমাম থেকে সফল উদ্যোক্তা আবিদুর রহমান


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

আবিদুর রহমান (৩৭), পেশায় একজন ইমাম। ছাত্রজীবন থেকেই স্বপ্ন দেখতেন উদ্যোক্তা হওয়ার। তাই নিজেকে নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ না রেখে ইমামতির পাশাপাশি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজের ভাগ্য বদলেছেন। অদম্য ইচ্ছা শক্তিই আজ তাকে একজন সফল উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে সহায়তা করেছে। 

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কুরবান নগর ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের বাসিন্দা হাফিজুর রহমানের পুত্র আবিদুর রহমান। ২০১৭ সালে সুনামগঞ্জ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ৬ মাস মেয়াদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নেন। পরের বছর ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করেন ফুয়াদ কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ৪ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। এই ট্রেনিং সেন্টারে প্রতিদিন প্রায় ৮০ জন শিক্ষার্থীকে ৮ ঘণ্টা করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। 

তিনি জানান, নবীনগরের হাজী লাল মিয়া জামে মসজিদে ১০ বছর ধরে ইমামতি করার পাশাপাশি কম্পিউটার সেন্টার পরিচালনা করে তিনি মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করছেন। বছরে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী এখান থেকে ৩ মাস ও ৬ মাসের কোর্স সম্পন্ন করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে। 
এলাকার বাসিন্দা শামসুল কাদির  মিসবাহ বলেন, আবিদুর একজন সফল উদ্যোক্তা। তিনি নিজেকে বেকারত্ব থেকে দূরে রাখতে ছাত্রজীবন থেকেই নানা কাজে নিয়োজিত থাকতেন। 

আবিদুর রহমান বলেন, ইচ্ছা শক্তি থাকলে স্বাবলম্বী হওয়া কঠিন নয়। তিনি তরুণ সমাজকে চাকুরির পেছনে না ছুটে স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, তরুণরা যদি উদ্যোগী হন তাহলে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। 

সুনামগঞ্জ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কম্পিউটার প্রশিক্ষক মো. আলমগীর কবীর বাসসকে বলেন, ‘আমরা চাই প্রশিক্ষণ নিয়ে আরও বেশি যুবক উদ্যোক্তা হোক। আবিদুর এর সাফল্য প্রমাণ করে, সঠিক দক্ষতা ও পরিশ্রম থাকলে গ্রামীণ পর্যায়ে থেকেও জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখা সম্ভব।’ 
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আইনুল ইসলাম ভুইঁয়া বাসসকে বলেন, ‘আবিদুর রহমান এখন এলাকায় সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিত। তরুণরা এভাবে এগিয়ে আসলে দেশ থেকে বেকারত্ব দূর করা সম্ভব।’

সূত্র: বাসস

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ