শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্যের মায়ের ইন্তেকালে খেলাফত মজলিসের শোক মদিনায় তিন বছর ধরে আইসিইউতে থাকা এক বাংলাদেশি আলেমের করুণ কাহিনি আল্লামা আহমদ শফী রহ.: খণ্ড খণ্ড গল্প চামড়ায় দেওয়া লবণে রং মিশিয়ে তৈরি হতো বিট লবণ

পলাতক শক্তির উস্কানি ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ঢেলে সাজাতে হবে


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

|| মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ ||

বর্তমান দেশের প্রেক্ষাপটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা শুধু বাহিনীর দায়িত্ব নয়, বরং এটা গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রের একটি সমন্বিত দায়িত্ব। বিশেষ করে যখন রাষ্ট্রবিরোধী কোনো পলাতক শক্তি উস্কানি দেওয়ার মতো সাহস দেখায়, তখন সেই সম্ভাব্য অস্থিতিশীলতা কঠোরভাবে রুখে দেওয়া আবশ্যক। কারণ এক জেলার ঘটনা, যদি যথাযথভাবে মোকাবিলা না করা হয়, তা হলে তা পরিণত হতে পারে বহুজেলা ও বহুমাত্রিক চাঙ্গাভাবের অনুঘটকে।

আমাদের মনে রাখতে হবে—প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা, ঘটনার পরের পদক্ষেপের চেয়ে সবসময় কার্যকর। একটি উত্তপ্ত দিনের আগেই যদি সংশ্লিষ্ট নিষিদ্ধ সংগঠনের ৪০-৫০ জন সক্রিয় ও উস্কানিমূলক ভূমিকা রাখা ব্যক্তিকে গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে আটক করা যায়, তাহলে রাস্তায় নামার মতো ভীড় গঠনের আগেই তা ভেঙে যায়। রাস্তায় একবার শত শত মানুষ নেমে গেলে তখন কেবল লাঠি, গ্যাস বা জলকামান দিয়েই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।

এছাড়াও মিডিয়ার ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় দেখা যায়, একটি সীমিত সংঘাতকে ভুল ব্যাখ্যা বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উপস্থাপন করে পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করা হয়। ফলে মাঠে নামা বাহিনীগুলোর কৌশল ও সাহস—উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই রকম পরিস্থিতি যেন ‘বুমেরাং’ না হয়ে দাঁড়ায়, সেজন্য সরকার ও নীতিনির্ধারকদের আগেভাগে সচেতন হতে হবে।

সবচেয়ে জরুরি হলো—আজকের যেকোনো সহিংস ঘটনার শক্ত ও সুপরিকল্পিত ফলোআপ। এটি দুষ্টু ও উগ্র চিন্তার লোকদের জন্য একটি বার্তা হবে: রাষ্ট্র এখনো সজাগ। একই সঙ্গে ফ্যাসিবাদ-উত্তর রাজনৈতিক বাস্তবতায় যেসব ইতিবাচক শক্তি আছে, তাদের ভেতরে কমপক্ষে একটি ন্যূনতম বোঝাপড়া গড়ে উঠতে হবে। তা না হলে এই জাতীয় সুযোগে দমন-পীড়নের নতুন যুক্তি তৈরি হতে পারে।

রাষ্ট্রের এই রূপান্তর-সংকটময় সময়ে, আইনি, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিরোধ—তিনটি স্তরেই সংহত উদ্যোগ প্রয়োজন।

লেখক: , আলেম লেখক, সাংবাদিক ও গবেষক

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ