সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫ ।। ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ৩ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
রাষ্ট্রের মূলনীতির ব্যাপারে ঐকমত্য হয়নি : আলী রীয়াজ প্রস্তাবিত রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি নিয়ে ইসলামি দলগুলোর প্রতিক্রিয়া ঢাকা বিভাগের ৪৭ আসনে জমিয়তের প্রার্থী যারা মাইলস্টোন ট্রাজেডি: নিহত মাসুমা’র দাফন ভোলার বোরহানউদ্দিনে সম্পন্ন আজ ‘একুশের রাতে’ অতিথি ইসলামী আন্দোলনের শাহ ইফতেখার তারিক সৌদির ২৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হবে ৮ মসজিদ ইসলামি শক্তিকে ক্ষমতায় নিলে মানুষ শান্তিতে থাকবে: পীর সাহেব চরমোনাই শাপলা স্মৃতি সংসদের বৈঠকে শহীদ পরিবারের পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত জুলাই সনদ নিয়ে অগ্রগতিকে স্বাগত জানাল ইসলামী আন্দোলন গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪০৯

ছয় লাশ পোড়ানোর মামলা: ট্রাইব্যুনালে ৮ আসামি


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-আন্দোলনের সময় সাভারের আশুলিয়ায় ছয় তরুণকে গুলি করে হত্যার পর তাদের মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় গ্রেফতার আট আসামিকে আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ জুলাই) সকাল ৯টার পর বিভিন্ন কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে আসামিদের ট্রাইব্যুনাল চত্বরে আনা হয়। আজই তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

শুনানির সময় ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল উপস্থিত থাকবেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

এর আগে, এ বছরের ২ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলাটি আমলে নেয় এবং গ্রেফতার আটজনকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয়। বাকি আটজন আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। প্রসিকিউশন জানায়, মামলায় মোট ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম, আবদুল্লাহিল কাফি, সাবেক ওসি এ এফ এম সায়েদ (রনি), ডিবি পুলিশের সাবেক পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, এবং আরও কয়েকজন সাবেক এসআই ও এক কনস্টেবল।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন ছয় তরুণ। এরপর তাদের মরদেহ একটি ভ্যানে তুলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। শহীদদের মধ্যে ছিলেন—সজল, আস সাবুর, তানজীল মাহমুদ সুজয়, বায়েজিদ বুসতামি ও আবুল হোসেন। একজনের পরিচয় এখনো অজানা।

প্রসিকিউশন আরও জানায়, হত্যাকাণ্ডের সময় একটি মরদেহ তখনও জীবিত ছিল। তবে দয়া না করে তাকেও পেট্রোল ঢেলে জীবন্ত জ্বালিয়ে হত্যা করা হয়। ১১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করা হয়।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ