রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বক্তা আমির হামজার ক্ষমা প্রার্থনা, সতর্ক করল জামায়াত আফগানের পানি ও বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের আলেম প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ ধর্মীয় অনুশাসনের শিথিলতা পরিবারব্যবস্থা সংকটাপন্ন করে তুলছে: শায়খ আহমাদুল্লাহ বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত না দিলে খারাপ কিছু ঘটবে, হুমকি ট্রাম্পের আ.লীগকে দল হিসেবে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা উচিত : নাহিদ ইসলাম সিলেটে ১ মাস ধরে নিখোঁজ আবিদুল মিয়া সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম জেদ্দায় হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনী নভেম্বরে আজ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে যুক্তরাজ্য

কারাগারে যেভাবে কাটছে বেগম জিয়ার সময়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে।

ইতোমধ্যেই ১৫ ঘণ্টার মতো সময় কেটেছে সেখানে। কারাগারে তার চিকিৎসাসেবার জন্য একজন চিকিৎসক রাখা হয়েছে।

কারাগারে প্রথম রাতের খাবার হিসেবে তিনি খেয়েছেন, ভাত, মাছ ও সবজি। খালেদার সঙ্গে একজন ব্যক্তিগত পরিচারিকা রয়েছে।

কারা অধিদফতরের ঢাকা বিভাগের ডিআইজি (প্রিজন্স) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে কারাগারের মূল ফটকের ভেতরে পুরনো অফিস ভবনে রাখা হয়েছে। সিনিয়র জেল সুপারের ওই অফিস কক্ষে একটি খাট, টেবিল, চেয়ার, টিভি ও দুটি ফ্যান রয়েছে।

তিনি বলেন, তার চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে একজন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া তাকে সেবা-শুশ্রূষা করতে একজন সেবিকা নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

ওই সেবিকা সার্বক্ষণিক তার সঙ্গে থাকবেন। এছাড়া তার চাহিদা অনুযায়ী একটি জাতীয় দৈনিক সরবরাহ করা হবে। ভিআইপিবন্দি ও জেল কোড অনুযায়ী খালেদা জিয়া সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে বন্দি হিসেবে কয়েদি পোশাক পরানো হয়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কারা অধিদফতরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী প্রথম দিন কয়েদি পোশাক পরানো হয় না। দ্বিতীয় দিন থেকে পরানোর নিয়ম রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। নিরাপত্তার কারণে তার কক্ষ নম্বরও জানানো হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৯ জুন। পুরোনো ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের লালদালান খ্যাত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৬ হাজার ৪০০ বন্দিকে কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ার রাজেন্দ্রপুরের নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এর মাধ্যমে ২২৮ বছরের পুরনো কারাগার বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

কেউ কখনো কল্পনাও করেননি কোনো সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে আর কোনোদিন এ কারাগারে ফের বন্দিজীবন কাটাতে হবে। তবে দুই বছর ৪ মাস ১০ দিন পর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে এই পরিত্যক্ত কারাগারে রাত কাটাবেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ