আওয়ার ইসলাম: মালালা ইউসুফজাই, শিরিন এবাদি, মহম্মদ ইউনুস, হোসে লামোস হোর্তা, মে ব্রিট মোসেসহ প্রমুখ ৫৬ জন নোবেলজয়ী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা অবিলম্বে দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
নোবেল লরিয়েটস অ্যান্ড লিজার্স ফর চিলড্রেনের ব্যানারে নরেন্দ্র মোদি ও ইমরান খানকে লেখা এক চিঠিতে এই আহ্বান জানান তারা। চিঠিটি গত শনিবার জাতিসংঘে দুই দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। খবর পাকিস্তান টু ডে
চিঠিতে বলা হয়েছে, দুই দেশের শিশুদের সেরা স্বার্থে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে প্রাজ্ঞতার পরিচয় দিতে হবে। যাতে করে পরিস্থিতর আর অবনতি না হয় এবং সব উত্তেজনার অবসান ঘটিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব হয়।
তারা বলেন, সভ্যসমাজে হিংসা, সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই।। যে কোনো মূল্যে এই সংক্রমণ রোধ করতে হবে। শিশুরা যুদ্ধ তৈরি করে না। অথচ তারাই যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ে।
অতএব আমরা এ অঞ্চলে শান্তি পুনরুদ্ধারে কাজ করার জন্য দুই প্রধানমন্ত্রী, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম, যুবসমাজ এবং ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন তারা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জইশ-ই-মহম্মদ নামে একটি সংগঠন ভারতে তাদের সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ৪৬ জন সামরিক বাহিনীর লোককে হত্যা করেছে।এ ঘটনায় দেশটি পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা চালায়।
ভারত এ হামলায় অনেকেই হতাহত হয়েছে বলে দাবি করছে। এ হামলায় কোনো হতাহত হয়নি বলে জানায় পাকিস্তান। এ নিয়ে দুদেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সামরিক হামলা হয়। এতে ভারতীয় দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে পাকিস্তান।
অন্যদিকে পাকিস্তানের একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করে। ভারতীয় যুদ্ধবিমান মিগ-২১ ভূপাতিত করার পর দেশটির এক পাইলটকে বন্দি করে পাকিস্তান।
পরবর্তীতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শান্তির শুভেচ্ছা নিদর্শন হিসেবে বন্দি পাইলটকে ভারতে হস্তান্তর করে। কিন্তু এরপর পাকিস্তান ও ভারতীয় সেনাবাহিনী কাশ্মীরের সীমান্ত এলাকায় ভারি গোলাবর্ষণ করে। এতে দুপক্ষের অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে দুই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী রয়েছে।
এদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী জম্মু-কাশ্মীরের সীমান্তঘেঁষা ত্রাল এলাকায় কয়েকটি বাড়িতে জঙ্গিদের ধরতে তল্লাশী চালায়। এসময় ভারত সেনা স্বাধীনতাকামীদের দুইজনকে গুলি করে হত্যা করে।
সর্বশেষ ভারতীয় একটি সাবমেরিন সোমবার রাতে পাকিস্তানের জলসীমায় প্রবেশের সময় আটকে দিয়েছে পাকিস্তানের নৌবাহিনী।
পাকিস্তান বলছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওই ভারতীয় সাবমেরিনটি ধ্বংস করা পাকিস্তানের নৌবাহিনীর কাছে কোনো বিষয়ই ছিল না। কিন্তু পাকিস্তান সরকার যুদ্ধ নয়, শান্তির নীতি গ্রহণ করায় সাবমেরিনটিকে অক্ষত অবস্থায় ছেড়ে দেয়া হয়। তবে সাবমেরিন আটকের বিষয়টি নাকচ করেছে ভারত।
আরএম/