মুহাম্মাদ উবায়দুল্লাহ আসআদ কাসেমি: মাওলানা জামিল আহমাদ সিকরোডভি রাহিমাহুল্লাহ ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের হাদিস ও ফিকহের সম্মানিত উসতাদ ছিলেন। দীর্ঘদিন ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত থাকার পর গত ৩১ মার্চ (রবিবার) স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া ৫টায় তিনি ইন্তেকাল করেন৷
১৯৫০ সালের ১০ এপ্রিল বিদগ্ধ এ আলেমেদীন জনাব জান মুহাম্মাদের ছোট্র ঘর আলোকিত করে এ পৃথিবীতে আগমন করেন।
শিক্ষাজীবন: তিনি শিক্ষাজীবনের প্রাথমিক স্তর জামেয়া কাশিফুল উলুম চটমলপুর এবং মাদরাসায়ে খলিলিয়া সাহারানপুরে অতিবাহিত করেন।।
১৩৮৫ হিজরি মোতাবেক ১৯৬৬ সালে আজহারে হিন্দ দারুল উলুম দেওবন্দে ভর্তি হন। ১৯৭০ সালে হজরত মাওলানা সায়্যিদ ফখরুদ্দিন সাহেব মুরাদাবাদি রহ. থেকে সহিহ বুখারির সনদ গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষাজীবন শেষ করেন।
পাঠদান: শিক্ষকতা জীবনের সূচনায় জামেয়া রাহমানুয়া হাপুড়ে নিয়োগ হয়।পরে জামেয়া কাশিফুল উলুম চটমলপুর, সাহারানপুরস্থ কাসিমুল উলুম গাগল হেড়ি মাদরাসায় সদরুল মুদাররিসিন ও শিক্ষাসচিবের দায়িত্বভার সুষ্ঠুভাবে আঞ্জাম দেন।
দারুল উলুমে নিয়োগ: ১৩৯৯হিজরি, মোতাবেক ১৯৭৯ সালে দারুল উলুম দেওবন্দে উসতাদ হিসেবে নিয়োগ হন। ১৯৮২ সালে দারুল উলুমের বিভক্তিকালে দারুল উলুম ওয়াকফের সাথে সংশ্লিষ্ট হয়ে যান। ২০০০ সালে দারুল উলুম দেওবন্দ কর্তৃপক্ষ তাকে পুণ:রায় নিয়োগ প্রদান করে এবং মৃত্যকালে উসতাজুল ফিকহ ও হাদিস হিসাবে দায়িত্ব আঞ্জাম দেন।
রচনাবলী: তার পাঠদান যেমন সকল ছাত্রদের কাছে পছন্দনীয় ও গ্রহনীয়, রচনাবলীও সর্বমহলে সমাদৃত। তিনি দরসি কিছু বইয়ের উর্দুভাষায় ব্যাখ্যা করেন, যা পাঠকমহলে বেশ আলোচিত। শরাহের মাধ্যমে তাকে চিনেনা এমন তালেবে ইলম পাওয়া দুরহ।
ফয়জে সুবহানি শরহে হুসামি, কুতুল আখইয়ার শরহে নুরুল আনওয়ার, আশরাফুল হিদায়া শরহে হিদায়া (প্রথম তিন খণ্ডের), তাফহিমুল হিদায়া শরহে হিদায়া (চতুর্থ), তাকমিলুল আমানি শরহে মুখতাসারুল মাআনি, আজমালুল হাওয়াশি শরহে উসুলুশ শাশি ও তাফসিরে বাইজাভির শরাহ(সুরা বাকারাহ) রচনা করেন। এছাড়াও তিনি তাহাভির ব্যাখ্যাও লিখেছেন।
লেখক : দারুল উলুম দেওবন্দের সাবেক শিক্ষার্থী
আরএম/