শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ ।। ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৪ জিলকদ ১৪৪৬


আদালতের সাজা পাঁচওয়াক্ত নামাজ ও বাবা-মায়ের সেবা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: এবার আদালত থেকে সাজাস্বরুপ কারাগারে না পাঠিয়ে পাঁচওয়াক্ত নামাজ ও বাবা-মায়ের সেবা করতে বলা হয়েছে। সুনামগঞ্জ আদালতে ১৪ শিশুর ক্ষেত্রে এমন চমৎকার ও বিস্ময়কর সাজা প্রদানের ঘটনা ঘটেছে।

আজ বুধবার (১৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একসঙ্গে ১০টি পৃথক মামলায় রায়ে সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।

সাজাপ্রাপ্ত শিশুদের অপারাধের মধ্যে রয়েছে- পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করে টাকা গ্রহণ, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছবি ভিকটিমের ছবির সঙ্গে সংযুক্ত করে ফেসবুকে ছড়িয়ে অশ্লীল ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ, পুলিশকে গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলে বাধা প্রদান ও আসামি পলায়নে সহায়তা, শ্লীলতাহানি, লাঠি দিয়ে মারপিট, মাদক রাখা এবং জুয়া খেলা।

১০টি পৃথক মামলার বিভিন্ন ধারা পর্যালোচনা ও শুনানি শেষে আদালত একসঙ্গে দেয়া রায়ে অপরাধে জড়িত ১৪ জন শিশুকে নিজ বাড়িতে থেকে সাজা ভোগ করার আদেশ দেন। এ সময় তাদেরকে পর্যবেক্ষণে রাখবেন প্রবেশন কর্মকর্তা শাহ মো. শফিউর রহমান।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নান্টু রায় বলেন, আদালত ১০টি শিশু অপরাধের মামলায় একসঙ্গে যুগান্তকারী একটি রায় দিয়েছেন। আদেশে আদালত বলেছেন- প্রবেশনের সময় অপরাধে জড়িত শিশুদের বাবা-মায়ের আদেশ মানতে হবে এবং বাবা-মায়ের সেবাযত্ন করতে হবে। ধর্মীয় অনুশাসন মানতে হবে ও ধর্মগ্রন্থ পাঠ করতে হবে। নামাজ পড়তে নিয়মিত। তারা প্রত্যেকে কমপক্ষে ২০টি করে গাছ লাগাবে ও পরিচর্যা করবে। অসৎসঙ্গ ত্যাগ ও মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে। ভবিষ্যতে কোনো অপরাধের সঙ্গে নিজেকে জড়াতে পারবে না।

প্রবেশন কর্মকর্তা শাহ মো. শফিউর রহমান বলেন, আদালতের উদ্দেশ্য হচ্ছে- শিশুদের কারাগারে না দিয়ে প্রবেশনের সময় পারিবারিক বন্ধনে রেখে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা। প্রবেশন কর্মকর্তা এবং শিশুদের অভিভাবকরা নিবিড় তত্ত্বাবধানে রেখে ভবিষ্যতে যাতে শিশুরা অপরাধে না জড়ায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা। জীবনের শুরুতেই যাতে শাস্তির কালিমা তাদের স্পর্শ না করে সেজন্য শাস্তি না দেয়া। সংশোধানাগারে অন্যান্য যারা বিভিন্ন অপরাধে আটক আছে তাদের সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখা। পরিবারের সংস্পর্শে রেখে শিশুদের স্বাভাবিক মানসিক বিকাশের ব্যবস্থা করা। সর্বোপরি শিশুর সার্বিক কল্যাণ সাধন করাই আদালতের উদ্দেশ্য।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ