আওয়ার ইসলাম: দেশের ২৪ পৌরসভায় প্রথম ধাপের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা বিশাল বিজয় পেয়েছেন। সোমবার ২৪টি পৌরসভায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৭টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন চারটিতে। বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন দুইটিতে। আর খুলনার চালনা পৌরসভায় ভোট শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে মেয়র পদপ্রার্থী মারা যাওয়ায় ফল স্থগিত করা হয়েছে।
২৪ পৌরসভায়সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা চলে ভোটগ্রহণ। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কেন্দ্রে গোলযোগের ঘটনা ঘটেছে। পঞ্চগড়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকার ধামরাইয়ে ভোটের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক জহির রায়হান।
করোনায় আক্রান্ত খুলনার চালনা পৌরসভার বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মারা যান ভোট শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে। ফলে মেয়র পদের ফল স্থগিতের সিদ্ধান্তত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি কার্যালয়ের সচিব। যদিও দুপুরের দিকে বিএনপির পক্ষ থেকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
আরও কয়েকটি পৌরসভায় বিএনপি ও স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থীরা অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। সীতাকুণ্ড পৌরসভায় ভোটগ্রহণের শুরুতেই একটি কেন্দ্রে গোলযোগের ঘটনা ঘটেছে। পাবনার চাটমোহরে মেয়র পদের প্রতিদ্বন্ধী দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী ১২টার দিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। অনিয়মের অভিযোগ তুলে সরে যাবার কথা জানান সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিএনপির প্রার্থী।
২৪ পৌরসভায় পাঁচটি দল ও স্ব্বতন্ত মিলিয়ে মেয়র পদে ৯৪ প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে ছিলেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়াও জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির প্রার্থী ছিল মেয়র পদে। প্রথম ধাপে সব মিলিয়ে প্রার্থী সংখ্যা ছিল এক হাজার ১৬১ জন। সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ৮০১ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী ২৬৬ জন।
প্রথম ধাপে ২৫টি পৌরসভায় ভোট হওয়ার কথা থাকলেও গাজীপুরের শ্রীপুরের একজন মেয়র পদপ্রার্থীর মৃত্যু হলে ভোট পিছিয়ে দ্বিতীয় ধাপে নেওয়া হয়।
-কেএল