মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫ ।। ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৮ জিলকদ ১৪৪৬


চার দেশের নিখুঁত ক্ষেপণাস্ত্রের ‘নিশানায়’ ইসরায়েল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম:২০২১ সালে মধ্যপ্রাচ্যের চারটি দেশের নিখুঁত ক্ষেপণাস্ত্র বড় ধরনের নতুন হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে ইসরায়েলের জন্য। ইসরায়েলের ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজের এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো দেশগুলো হলো- লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন ও ইরান। এসব দেশকে শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে ইসরায়েল। অন্যদিকে, তেল আবিবকেও শত্রুজ্ঞান করে দেশগুলো।

এ চারটি দেশের পরীক্ষা করা ঝাঁকে ঝাঁকে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র নিখুঁত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে বলে জানানো হয়। এতে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন থাকা ইসরায়েলের দুশ্চিন্তা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে নিজ দেশের এই গবেষণা প্রতিবেদন।

এতে আরো বলা হয়, ছয় জাতি-গোষ্ঠীর সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে বেরিয়ে গিয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তেহরানের ওপর। এর পাল্টা হিসেবে ২০২০ সালে চুক্তি থেকে সরে এসে ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি জোরদার করে ইরান।

পরিবর্তিত এ পরিস্থিতি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে বাধ্য করে ইসরায়েলকে। এতে দেশটির সামরিক শক্তি হ্রাস পেয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।

ইসরায়েলকে নতুন বছরে ইরানি বলয়ের বাইরে থাকা মিশর, জর্ডান ও ফিলিস্তনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অন্যদিকে, গাজার হামাসসহ অন্যান্য প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর সামরিক শক্তি ঠেকাতে পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়েছে।

সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি করে। এর প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো ঐতিহাসিক যৌথ মহড়া চালায় ফিলিস্তিনি ১২টি প্রতিরোধ সংগঠন।

হামাসের নেতৃত্বে ‘রুক্‌ন আল-রাশিদ’ নামে গাজায় অনুষ্ঠিত এ মহড়ায় ইসলামিক জিহাদ, ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট, গণপ্রতিরোধ কমিটি, পপুলার ফ্রন্টসহ সশস্ত্র সংগঠনগুলো অংশ নেয়। যা ইসরায়েলকে নতুন করে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ