রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
আজ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিস বানিয়াচং উপজেলা শাখার ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন ‘নীলনদের পানি যেমন নীল নয়, তেমনি জামায়াতেও ইসলাম নেই’ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টিকারী বক্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা পিআর সিস্টেমের নির্বাচন নিরাপদ নির্বাচন, আদর্শের নির্বাচন: শায়খে চরমোনাই মসজিদ নিয়ে দ্বন্দ্ব, সড়কে জুমা আদায় হেফাজতের চার রাহবার সিরাতে মুস্তাকিমের পথ প্রদর্শক ছিলেন: হেফাজত আমির শ্রীমঙ্গলে খেলাফত মজলিসের সিরাতুন্নবী (সা.) সম্মেলন

পাকিস্তানের যে ‘গোপন অস্ত্র’ ঘুম কেড়ে নিচ্ছে ভারতীয়দের!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা মারাত্মক রূপ নিয়েছে। সীমান্তে টানা ১১ দিন ধরে গোলাগুলি, যুদ্ধের আশঙ্কা, পাল্টাপাল্টি প্রস্তুতি—সব কিছু মিলিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় আবারও যুদ্ধের আশঙ্কা ঘনীভূত হয়েছে।

এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ভারতের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মধ্যে নতুন উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে পাকিস্তানের একটি আধুনিক অস্ত্র Airborne Early Warning and Control Systems (AEW&C) বা এওয়াক্স। এটি বিমানে স্থাপিত একটি রাডার সিস্টেম, যা আকাশে ভাসমান অবস্থায় শত্রু বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য হুমকি শনাক্তে অসাধারণ দক্ষতা রাখে।

পাকিস্তানের হাতে থাকা ১১টি AEW&C বিমানে সুইডেনের উন্নত ‘Ericsson Erieye radar’ সজ্জিত। এগুলো পাকিস্তানের আকাশে মোবাইল কমান্ড সেন্টার হিসেবে কাজ করে। সীমান্তে ভারতীয় জেট ঢুকলেই, তা দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হয়।

এই তথ্যের ভিত্তিতে পাকিস্তান দ্রুত সক্রিয় করতে পারে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, যা ভারতীয় মিসাইল বা বিমানকে মাঝ আকাশেই গুঁড়িয়ে দিতে পারে।

ভারতীয় বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা মনে করেন, এই রাডার প্ল্যাটফর্ম না ধ্বংস করা পর্যন্ত পাকিস্তানের আকাশে অভিযান চালানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এটি শুধু নজরদারিই নয়, যুদ্ধক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রেও তাৎক্ষণিক সুবিধা দেয়।

এই পর্যায়ে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের AEW&C ব্যবস্থার মাধ্যমে তারা কৌশলগতভাবে কিছুটা এগিয়ে আছে। ভারত এ ব্যবস্থাকে অকার্যকর না করলে, পেহেলগাম হামলার প্রতিশোধ নেয়াও হবে জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ। দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে এখন শুধু যুদ্ধবিমান নয়, তথ্য প্রযুক্তি ও রাডার ক্ষমতার লড়াইও চলছে।

 এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ