আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দ্রুত গতিতেই চলছে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য প্রত্যাহার। সামরিক পরিকল্পনাকারীদের বরাতে ভয়েস অব আমেরিকা জানায়, প্রায় অর্ধেক সৈন্যকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং সাজ সরঞ্জামগুলো হয় দেশে পাঠানো হয়েছে, নয়তো নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ড বা সেন্টকম জানায়, ৩০ থেকে ৪৪ শতাংশ সৈন্য প্রত্যাহার এখন সম্পন্ন হয়েছে এবং ছয়টি স্থাপনা আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আরও অনেকগুলো ঘাঁটি সামনের দিনে হস্তান্তর করা হবে।
এক বিবৃতিতে সেন্টকম বলছে, অনুমান করছি, আফগান জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনী যখন দেশটিকে স্থিতিশীল ও নিরাপদ রাখার চেষ্টা করছে, তখন ভবিষ্যতে তাদের সাহায্য করতে পারে এমন আরও ঘাঁটি এবং সামরিক সম্পদ আমরা তাদের কাছে হস্তান্তর করতে পারবো।
হালনাগাদ তথ্যে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র ৩০০টি সি-সেভেন্টিন বিমানের ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন সরঞ্জাম আফগানিস্তান থেকে সরাতে সক্ষম হয়েছে। আরও ১৩ হাজার সাজসরঞ্জাম নষ্ট করে দেয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে।
মাত্র এক সপ্তাহ আগে সেন্টকম বলেছে, প্রত্যাহারের প্রায় শতাংশ সম্পন্ন করা হয়েছে । ওয়াশিংটনে আইন প্রণেতাদের সামনে সাক্ষ্য দেয়ার সময়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন যে সৈন্য প্রত্যাহারের গতি খানিকটা এগিয়ে আছে।
আরেকটি খবরে আফগান ও আমেরিকান কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ২০ দিনের মধ্যে বাগরাম বিমান ঘাঁটি আফগান সরকারকে বুঝিয়ে দেবে।
মঙ্গলবার পেন্টাগনের প্রেস সচিব জন কারবি কোনোরকম সময়সীমা নিশ্চিত করতে অস্বীকৃতি জানান। তবে সংবাদদাতাদের বলেন, “স্পষ্টতই বাগরাম তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।”
২০ বছরের সামরিক সংশ্লিষ্টতার পর আমেরিকান সৈন্যরা ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আফগানিস্তান ত্যাগ করবে। এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ ঘোষণা দেন। এরপর একই ঘোষণা দেয় ন্যাটো বাহিনী।
প্রত্যাহারের ঘোষণার সময় আফগানিস্তানে আড়াই হাজার মার্কিন সেনা ছিল। ২০০১ সালে দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরুর সময় এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ। এই যুদ্ধে ২ হাজার ৪০০ মার্কিন সেনা নিহত হন। আহত হন আরও কয়েক হাজার।
-এএ