সারিব সুইজা: মাওলানা আতাউর রহমান খান। একজন দার্শনিক আলেমে দ্বীন ও সফল রাজনীতিবীদ। জ্ঞানচর্চা, মাদরাসা ও মসজিদ পরিচালনার সাথে সাথে রাজনীতি তথা সমাজ সংস্কারেও ছিলেন সোচ্চার। ১৯৯১ সালে কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে তিনি বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার প্রায় শুরু থেকে তিনি এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ছিলেন বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব, জাতীয় শরীয়াহ কাউন্সিলের সদস্য। ২০০৮ সালের আজকের এইদিনে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকা আসার পথে পরপারে পাড়ি জমান।
[caption id="" align="aligncenter" width="555"] মাওলানা খান সাহেব রহ. এর মাকবারা।[/caption]
জন্ম ও শিক্ষা জীবন
মাওলানা আতাউর রহমান খান ১৯৪৩ সালের ১ মার্চ কিশোরগঞ্জের ইটনা থানাধীন হাতকাবিলা গ্রামে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিকভাবেই আতাউর রহমান খান ধর্মীয় চেতনার ধারক ছিলেন। শুরু থেকেই তিনি কিশোরগঞ্জের জামিয়া ইমদাদিয়ায় লেখাপড়া করেন এবং এখান থেকেই তিনি দাওরায়ে হাদীস (মাষ্টার্স) সমাপ্ত করেন। মেধার অধিকারী হওয়ায় হযরত খান সাহেব রহ. তার ছাত্রজীবনের প্রতিটি ধাপ অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হন।[৫]
কর্মজীবন
জামিয়া ইমদাদিয়ায় শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে তিনি তার কর্মজীবনের সূচনা করেন। বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নসের সদস্য, জাতীয় শরীয়াহ কাউন্সিলের সদস্য, জামিয়া ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জের ভাইস প্রিসিপাল, জামিয়া ফারুকিয়া কিশোরগঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল, ঢাকার ফরিদাবাদ ও মিরপুর ৬নং মাদরাসার প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন করেন।
-কেএল