বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

লেখক ও গবেষক আলেম মাওলানা ইসহাক ওবায়দী আর নেই

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম।।

খ্যাতিমান লেখক ও গবেষক আলেম মাওলানা ইসহাক ওবায়দী ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন। বিষয়টি আওয়ার ইসলামকে নিশ্চিত করেছেন তার নাতি ও তার প্রতিষ্ঠিত, পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মাওলানা ইউনুস আহমাদ।

এর আগে প্রচণ্ড জ্বর ও বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভোগ ছিলেন তিনি।

উল্লেখ্য, মাওলানা ইসহাক ওবায়দী রহ. হাজার ১৯৪৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানাধীন মজদিপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার দাদা হযরত মাওলানা বশির উল্লাহ রাহিমাহুল্লাহ তৎকালের কিংবদন্তিতুল্য একজন বড় মাপের আলেমে দ্বীন ও বুজুর্গ ব্যক্তি ছিলেন।

তার বাবা মরহুম শেখ মোহাম্মদ ইব্রাহীম ছিলেন মহারানী ভিক্টোরিয়ার পক্ষ থেকে ইংরেজিতে সোনার মেডেল প্রাপ্ত ইংরেজি সাহিত্যের একজন বুজুর্গ ও আদর্শ শিক্ষক। প্রাইমারি স্কুল শেষ না করেই জনাব ইসহাক ওবায়দী চট্টগ্রামের মাজহারুল উলুম ও পটিয়া জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষা লাভ করেন। পরে তিনি বৃহত্তর নোয়াখালীর ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ওলামা বাজার মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন অধ্যায়ন করে উচ্চতর শিক্ষা লাভ করেন এবং সেখান থেকেই সনদ গ্রহণ করেন।

মাওলানা ইসহাক ওবায়দী ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখির সাথে জড়িত। তার তেজস্বী লেখায় দেশপ্রেম, মানবতার প্রতি মমত্ববোধ ও সচেতনতা উপলব্ধি করা যায়। দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি রেডিও বাংলাদেশ ঢাকা কেন্দ্রে নিউজরিল রিপোর্টার হিসেবে সংবাদ পরিবেশনের কাজ করেন।

১৯৮১ সালের মে থেকে তিনি হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ.-এর নির্দেশ ও পৃষ্ঠপোষকতায় ‘ইকরা’ নামের একটি আরবি পত্রিকা ও রহমত নামের একটি বাংলা পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক এর কাজ করেন। ইসলামের ডাক নামক একটি পত্রিকায় তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন।

১৯৮১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হযরত হাফেজ্জী হুজুরের প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে জনাব ওবায়দী বেশ খ্যাতি লাভ করেন। তিনি রেডিও-টেলিভিশনসহ জাতীয় পত্রিকার একজন স্বনামধন্য লেখক।

বৈশিষ্ট্যপূর্ণ তাফসীর তাফসীরে মারেফুল কোরআন এর অংশবিশেষ তিনি অনুবাদ করেছেন। শিশুদের জন্য তাঁর লেখা বেশ কয়েকটি সিরিজ বইসহ এ পর্যন্ত প্রায় ২০টি বই প্রকাশিত হয়েছে। যুগে যুগে নারী, মালফুজাতে হযরতজী মাওলানা ইউসুফ রাহিমাহুল্লাহ এবং সোভিয়েত রাশিয়া ভ্রমণ উপলক্ষে ভ্রমণকাহিনী হিসেবে লেখা ‘সোভিয়েত মুসলমানদের সাথে’ তার লেখা বহুল প্রচারিত বই।

তিনি এ পর্যন্ত সৌদি আরব, লিবিয়া, রোম, এথেন্সা, পাকিস্তান, ভারত, তাশকান্দ, সমর্কন্দ, আজারবাইজান ও মস্কো সফর করেছেন।

ইনসানিয়াত সেন্টার বাংলাদেশ, কোরআন প্রচার সংস্থা, গীতিকবি সংসদ, যৌতুক প্রতিরোধ আন্দোলনসহ অনেক প্রগতিশীল সামাজিক ও সাহিত্য সংগঠন এর তিনি কর্মকর্তা। মাওলানা ইসহাক ওবায়দী ঢাকার জামিয়া ফারুকিয়া ও নোয়াখালীর বশিরিয়া ইসলামিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং ৫ ছেলে মেয়ের জনক।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ