মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫ ।। ২২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৮ জিলকদ ১৪৪৬


বাজারে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বাজারে বেড়েছে নিত্য ব্যবহার্য সব পণ্যের দাম। মাসের ব্যবধানে কোনো কোনো পণ্যের দাম শতভাগ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এমন অস্থিতিশীল বাজার পরিস্থিতি নিয়ে দিশেহারা সাধারণ মানুষ।

শুক্রবার (২০ মে) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে বেড়েছে সবজির দাম। এসব বাজারে শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা আর গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, চায়না গাজর প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, বরবটির কেজি ৬০ টাকা ও মটরশুটির ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচাবাজার ঘুরে সবজি বিক্রেতাদের থেকে জানা যায়, বন্যার কারণে সবজির দাম বেড়েছে। বাজারে সবজির সরবরাহ কম থাকায় আর ক্রেতাদের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে সবজির দাম বেড়েছে।

এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা।

বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। প্রতি কেজি আলুর বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। আর একটু ভালো মানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়।

পেঁয়াজ বিক্রেতাদের কাছ থেকে জানা যায়, আমদানি বন্ধ থাকায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। যে দামে এখন বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সেই দামেই বিক্রি হবে। দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলে তখন পেঁয়াজের দাম একটু কমবে।

বাজারে চায়না রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি।

বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি। এছাড়া প্যাকেট চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়।

এছাড়াও এসব বাজারে বেড়েছে ডালের দাম। দশ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে দেশি মসুরের ডালের কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। আটার দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা।

খুচরা ও পাইকারি মুদি দোকানিদের থেকে জানা যায়, বাজারে খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। ইদের পরেও যা বিক্রি করা হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। আটা-গম আমদানি বন্ধ থাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে দাম। ডালের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগেও বাজারে ইন্ডিয়ান ডালের কেজি ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা। তা এখন বেড়ে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জানা যায়, ভারত থেকে ডাল আমদানি বন্ধ থাকায় দাম বেড়েছে। আর আটার দাম বেড়েছে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে। তবে আটার দাম আরও বাড়তে পারে।

বাজারে ডিমের দামও বেড়েছে। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। বাজারে হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯০ টাকা।

গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।

বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়।

জানা যায়, মুরগির উৎপাদন কম থাকায় বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে বিক্রেতাদের। ফলে বিক্রিও করছেন বেশি দামে। তাছাড়া চাহিদা অনুযায়ী বাজারে মুরগি সরবরাহ কম।

এখন চালে ভরা মৌসুমে চলছে। তারপর কাম বেড়েছে চালের। মিনিকেট চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা। এক সপ্তাহ আগে মিনিকেটের কেজি ছিল ৬৪ টাকা। ২৮ চালের কেজি ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। আগে দাম ছিল ৪৮ টাকা কেজি। নাজিরশাইল চালের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হতো ৬৮ থেকে ৭০ টাকায়। বাজারে পোলাও-এর চাল বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। সাত দিন আগেও পোলাও-এর চালের কেজি ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা।

পাইকারি ও খুচরা চাল বিক্রেতারা বলছে, রাইস মিল মালিকরা বন্যা ও সরকারের চাল ক্রয়ের অজুহাত দিয়ে দাম বাড়িয়েছে। এছাড়াও অন্য আরেকটি কারণ হচ্ছে রাইস মিল মালিকরা চাল কিনে চাল মজুদ করে রাখছেন। পরে বিক্রি করবেন বলে। এসব কারণেই চালের ভরা মৌসুমেও দাম বেড়েছে।

বাজারের ক্রেতা মো. আরমান বলেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় মূল্যের দাম ঊর্ধ্বগতি থাকায় সবচেয়ে বেশি কষ্টে দিন পার করছেন মধ্যবিত্ত মানুষরা। তারা কাউকে কিছু বলতেও পারছেন না, সইতেও পারছেন না।

এনটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ