মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৬


সিলেটে আজিমুশ্বান ইজতেমা বাস্তবায়নে আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলামের মতবিনিময়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সিলেট আলিয়া মাদরাসা ময়দানে আগামী ১৭-১৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের দুদিন ব্যাপী আজিমুশ্বান ইজতেমা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সিলেটের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে বিশেষ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার যৌথ উদ্যোগে আজ ১৩ আগস্ট শনিবার দুপুর ১১টায় নগরীর কুমারপাড়াস্থ মালঞ্চ কমিউনিটি সেন্টারে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ সিলেট জেলা আমীর মাওলানা আব্দুল কাদির বাঘরখালীর সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শেখ সাদ আহমদ আমীন বর্ণভীর সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আমীর আল্লামা মুফতি মুহাম্মাদ রশীদুর রহমান ফারুক বর্ণভী (পীর সাহেব বরুণা)।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জামেয়া কাসিমুল উলুম দরগাহে হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলায়হি মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ি, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র জনাব আরিফুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি জনাব আসাদ উদ্দিন আহমদ, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আলহাজ আমিনুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ ওলিউর রহমান, আঞ্জুমানের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা আবদুস সবুর-সহ সিলেটের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ।

মতবিনিময় সভার মুক্ত আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণ করে আসন্ন আজিমুশ্বান ইজতেমাকে সফল করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দ। ইজতেমাকে সিলেটের স্মরণীয় ও সাফল্যমণ্ডিত একটি সমাবেশে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে প্রত্যেকেই সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন। অতিথিরা আন্তরিক আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ১৭-১৮ নভেম্বরের ইজতেমাটি দলমত নির্বিশেষে ধর্মপ্রাণ সকল মুসলিমের একতার একটি মাইল ফলক।

সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র জনাব আরিফুল হক চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে জানান—ইজতেমার বিশাল আয়োজনে সিলেট সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সমাবেশস্থলের মূল প্যান্ডেল, ডেকোরেশন, সাউন্ড সিস্টেম, বিশুদ্ধ পানি, বিদ্যুৎ ও পর্যাপ্ত মোবাইল টয়লেটের ব্যবস্থা করা হবে।

তাবলিগ জামাতের জেলা মারকাজ খোজারখলা জামে মসজিদের মুরব্বি জনাব হাজী কামাল সাহেব তাঁর বক্তব্যে বলেন, তাবলীগ জামাতের সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে এই ইজতেমা বাস্তবায়নে। জেলা মারকাজের যাবতীয় আসবাবপত্র আজিমুশ্বান ইজতেমায় ব্যবহারের জন্য প্রদান করা হবে।

এ ছাড়া মতবিনিময়ে অংশ নিয়ে লিখিত ও মৌখিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেন মাওলানা মোস্তাক আহমদ খান ধনপুরী, মাওলানা মজদুদ্দীন (মুহতামিম, জামেয়া নুরিয়া ভার্তখলা), মাওলানা আব্দুল মালিক মোবারকপুরী, মাওলানা হেলাল আহমদ হরিপুরী, মাওলানা আহমদ কবীর সগীর (সুবহানীঘাট মাদরাসা), মাওলানা আতাউর রহমান (কোম্পানীগঞ্জ), মুফতি ওলীউর রহমান (মুহতামিম, দারুস সালাম মাদরাসা), আব্দুল মতিন নবীগন্জী, মাওলানা সৈয়দ শামীম আহমদ (মুহতামিম শামীমাবাদ মাদরাসা), মুফতি শফিকুর রহমান (শিক্ষাসচিব, কাজির বাজার মাদরাসা), সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সিলেট চেম্বারস অব কমার্সের পরিচালক জনাব হিজকিল গুলজার, সিলেট সিটি করপোরেশন ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জনাব তৌফিকুল হাদী, ১৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জনাব আব্দুল মুহিত জাবেদ, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জনাব শওকত আমীন তৌহিদ, ২০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জনাব আজাদুর রহমান আজাদ, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ জনাব আখতার হোসেন রাজু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ সাইফুল আলম-সহ সকল শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধি, বিভিন্ন মাদরাসার মুহতামিম, মসজিদের ইমাম-খতিব ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

এ ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন আঞ্জুমানের জেলা, মহানগর ও কেন্দ্রীয় শাখার দায়িত্বশীলবৃন্দ।

সকলেই সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও উচ্ছ্বাস সহকারে আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আসন্ন আজিমুশ্বান ইজতেমাকে সাফল্যমণ্ডিত করে তুলতে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ৭৭ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আগামী ১৭-১৮ নভেম্বর ২০২২ তারিখে সিলেট আলিয়া মাদরাসা ময়দানে সংগঠনটির সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার যৌথ উদ্যোগে 'আজিমুশ্বান ইজতেমা' নামে বিশাল একটি জনসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এ প্রোগ্রাম আয়োজনের মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, সংগঠনটির কর্মসূচিসমূহ নতুনরূপে মুসলিম জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপকভাবে পৌঁছে দেওয়া এবং ইজতেমায় আগত সর্বস্তরের মুসল্লিদের মধ্যে ইসলামের মৌলিক ও আবশ্যকীয় জ্ঞান অর্জনোর ব্যাপারে নতুন জাগরণ তৈরি করা।

আজিমুশ্বান ইজতেমায় দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামা-মাশায়েখ বুদ্ধিজীবী এবং বহিঃবিশ্বের বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদগণ উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর