বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির  মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬

আমন ধানে বিএলবি রোগের ব্যাপক আক্রমণ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সৈয়দ হেলাল আহমদ বাদশা গোয়াইনঘাট: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় রূপায়িত আমন ধানে ব্যাপকহারে ব্যাকটেরিয়া জনিত পাতা পোড়া রোগের (বিএলবি) আক্রমন দেখা দিয়েছে। এতে করে আক্রান্ত জমির ধান সম্পন্ন হলুদ হয়ে মরে যাচ্ছে। বিভিন্ন কোম্পানির ঔষধ প্রয়োগ করেও কোন কাজ না হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। আমন ধানের ভালো ফলন উৎপাদনে শঙ্কায় কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে গোয়াইনঘাট উপজেলায় প্রায় ১৫ হাজার ২শত ৭০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপন করা হয়েছে। জমিতে বিনা সেভেন,ব্রি ৪৯,বি ৫১,ব্রি ৫২ ধানসহ বিভিন্ন প্রজাতির ধান রোপন করা হয়েছে। ধান রোপনের পর থেকেই হঠাৎ করে জমির ধানের পাতা হলুদবর্ণ হতে থাকে। আক্রান্ত জমির ধান খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পুরো জমিই আক্রান্ত হয়ে পড়ছে।

কৃষকরা বলছেন, বিভিন্ন কোম্পানীর ঔষধ প্রয়োগ করেও কোন সু-ফল পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকেই জমির ধান ভেঙ্গে নতুন করে রোপন করার পায়তারা করছেন। কেউ কেউ আবার ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা দ্বিতীয়বার রোপন করে খালি জায়গায় পূরণ করছেন।

উপজেলার তোয়াকুল নন্দীরগাঁও রুস্তমপুর ও ডৌবাড়ী ইউনিয়ন ঘুরে বেশ কিছু জমির ধান এ রোগে আক্রান্ত হতে দেখা গেছে।

কৃষক শামীম আহমদ জানান, প্রায় ৪ বিঘা জমির ধান এমনভাবে আক্রান্ত হয়েছে যে,কোন ঔষধ প্রয়োগ করে ফল হচ্ছে না, তাই ধান ভেঙ্গে পূণরায় রোপন করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। একই অবস্থার কথা বলেছেন কৃষক গোলাম রাব্বানী । কোন অবস্থাতেই ঔষধ প্রয়োগ করে এতটুকু ফল পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, কৃষি অফিসারের মাধ্যমে যে ঔষধ লিখে দেওয়া হয়েছে তাতে খরচ বহু গুণ পড়ে যায়। সকল কৃষকের সামর্থ্য নাই এমন খরচ করার। প্রায় কিয়ার প্রতি তিন থেকে চার হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ আসে। যা সকল কৃষকের ক্ষেত্রে কুলিয়ে উঠা সম্ভব নয়।

কৃষক মোশাহিদ আলি জানান, ধান রোপন করে আইল থেকে সরা যাচ্ছে না ধান শেষ। তিনি বলেন শুধু এক জাতীয় ধানে নয় প্রায় সকল জাতীয় ধানের অবস্থা একই।ঠিক এভাবে এলাকার শত শত বিঘা জমির ধান আক্রান্ত হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । ঔষধ প্রয়োগ করে কোন সু-ফল না পাওয়ায় রোগাক্রান্ত ধান নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা ।

গোয়াইনঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রায়হান পারভেজ রনি জানান, এ রোগে আক্রান্ত আমন ধানের ক্ষতির সম্ভাবনা খুবই কম।

তিনি বলেন, রোপনের সময় এমওপি সার প্রয়োগ না করার কারণে এই রোগের দেখা দিয়েছে।ঔষধ প্রয়োগ করে ইতি মধ্যেই আরোগ্য লাভ করতে শুরু করেছে । তবে এবিষয়ে কৃষকদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ