সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

বেফাকের নতুন কমিটি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শনিবার (৭ অক্টোবর) আগামী বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কমিটি পুনর্গঠিত হয়েছে। যাত্রাবাড়ী জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদানিয়া মাদরাসা মিলনায়তনে সারাদেশ থেকে আগত প্রায় ৩ হাজার উমূমী সদস্যের সম্মেলনে মজলিসে শুরার পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা পেশ করা হলে মজলিসে উমূমীর সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে এই কমিটির অনুমোদন হয়।

কমিটিতে আল্লামা মাহমুদুল হাসান সভাপতি, মাওলানা সাজিদুর রহমান সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং মাওলানা মাহফুজুল হক মহাসচিব নির্বাচিত হন।

১৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ, ১৫০ সদস্যের আমেলা এবং ২৮৫ সদস্য বিশিষ্ট শূরার নাম মজলিসে উমূমীতে ঘোষণা করা হয়। ২৩ হাজারের অধিক মাদরাসার তত্বাবধায়ক দেশের সর্ববৃহৎ জাতীয় কওমী শিক্ষাবোর্ড বেফাকের এই সম্মেলনে ১২টি প্রস্তাব গৃহীত এবং ১০টি নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল:

*কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা।

*কারাবন্দী ওলামায়ে কেরামকে মুক্তিদান এবং সকল হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহার করা।

*জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ইসলাম বিরোধী ভাবধারা দূরীকরণ, শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা এবং শিক্ষাঙ্গণে হিজাব ও পর্দার অধিকার বহাল রাখা।

*নাস্তিক্যবাদ, খৃষ্টান মিশনারী, কাদিয়ানী ফিতনা, হিজবুত তাওহীদ ইত্যাদির বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা।

সম্মেলনের শুরুতে মাওলানা সাজিদুর রহমান স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং আল্লামা মাহমুদুল হাসান উদ্বোধনী ভাষণ দেন। বেফাকের গত পাঁচ বছরের রিপোর্ট পেশ করেন মাওলানা মাহফুজুল হক। পরিশেষে বেফাকের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত যে সকল মুরুব্বিয়ানে কেরাম ইন্তেকাল করেছেন তাদের জন্য এবং দেশ বিদেশের সকল মরহুম ওলামায়ে কেরাম ও দীনদার ব্যক্তিবর্গের জন্য মাগফেরাত ও রাফয়ে দারাজাতের দোয়া, কারাবন্দী ওলামায়ে কেরামের দ্রæত মুক্তি এবং দেশ-জাতি উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে মুনাজাতের মধ্য দিয়ে সম্মেলন সমাপ্ত হয়।

টিএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ