সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

শহীদ আবু সাঈদের ভাস্কর্য নির্মাণে আলেমদের তীব্র নিন্দা 

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| শাব্বির আহমাদ খান ||

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী মঙ্গল শোভাযাত্রায় শহীদ আবু সাঈদের ২০ ফুট উচ্চতার একটি ভাস্কর্য নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে এই ঘোষণার পরই ধর্মীয় মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

দেশের বিভিন্ন স্থানে আলেম, ইসলামি চিন্তাবিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কড়া আপত্তি জানিয়েছেন। তারা এটিকে ইসলামের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন। পাশাপাশি তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এই ধরনের ভাস্কর্য নির্মাণ ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিতে আঘাত হানতে পারে এবং সমাজে নতুন বিভেদ তৈরি করতে পারে। 

শহীদ আবু সাঈদের ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে সোশ্যাল মিডিয়াসহ সর্বত্র।

এব্যপারে বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক  মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ  বলেছেন, "ভাস্কর্য বা মূর্তি ইসলামের সংস্কৃতি নয়। এটি ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ভাস্কর্যটি যারই হোক, যত সম্মান কিংবা ঘৃণার কারণেই হোক—এটি ইসলাম অনুমোদন করে না। পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রার জন্য জুলাই আন্দোলনের কিংবদন্তি শহীদ আবু সাঈদের ভাস্কর্য বানানোর পরিকল্পনা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। আবু সাঈদ নিজেও ভাস্কর্য, মূর্তি এবং ইসলামবিরোধী সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ছিলেন। তার বিশ্বাস ও আদর্শের সঙ্গে এই উদ্যোগ উপহাস ছাড়া কিছু নয়।"

পহেলা বৈশাখকে নামজ-রোজার সঙ্গে সমতুল্য করা অনুচিত উল্লেখ করে জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (জাসাক) এর সভাপতি কবি মুহিব খান বলেন, "পহেলা বৈশাখ আমাদের প্রাণের বাংলা নববর্ষ। এর জাতীয় গুরুত্ব ও ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। কিন্তু এটিকে আল্লাহর ইবাদত, নামাজ-রোজার সমতুল্য করা বা ধর্মের ছোঁয়া দেওয়ার চেষ্টা করা অনুচিত ও ধর্মীয়ভাবে গর্হিত কাজ। আমরা সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টার এই মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানাচ্ছি।"

তিনি আরও বলেন, "এবারের পহেলা বৈশাখ বা নববর্ষ উদযাপন যেন খাঁটি বাঙালি ও দেশীয় সংস্কৃতির রূপে থাকে, সে বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এই সর্বজনীন উৎসবকে তিলক, ঢোলক, রাখিবন্ধন, মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মতো ব্রাহ্মণ্যবাদী সংস্কৃতি ও মঙ্গল শোভাযাত্রার মতো কুসংস্কার থেকে মুক্ত রাখার জোর দাবি জানাই।"

শহীদ আবু সাঈদের ভাস্কর্য নির্মাণকে কেন্দ্র করে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে গতকাল রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদে প্রতিবাদী বিক্ষোভ-মিছিল করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। এতে ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়। 
মিছিল থেকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতৃবৃন্দ বলেন, শহীদ আবু সাঈদের ভাস্কর্য নির্মাণ ইসলামি মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যের পরিপন্থী। তারা এ বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এই ভাষ্কর্য নির্মান বন্ধ করতে হবে।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ