সিলেট নগরীর জামেয়া শামীমাবাদে রোববার (৬ জুলাই) আস সুন্নাহ ছাত্র সংসদের উদ্যোগে ‘আকিদায়ে খতমে নবুওয়াত: উলামায়ে কেরামের দায়িত্ব ও কর্তব্য’ শীর্ষক খতমে নবুওয়াত কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জামেয়ার মাদানী মসজিদ কমপ্লেক্সে বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া এই কনফারেন্সে জামেয়ার সদরুল মুদাররিসিন মুফতী সায়েম কাসেমীর সঞ্চালনায় ও মুহতামিম হাফিয মাওলানা সৈয়দ শামীম আহমদের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচকের গুরুত্বপূর্ণ মুহাযারা পেশ করেন মুফতী আব্দুল মজিদ।
প্রধান আলোচক তাঁর বয়ানে বলেন, আকিদায়ে খতমে নবুওয়াত যে মানবে না, সে দ্বীন ও ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে। সকল আকিদা মেনে কেবল এই একটি আকিদা যদি কেউ অস্বীকার করে, তবে সে কাফের হয়ে যাবে। আকিদায়ে খতমে নবুওয়াত গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে তিনি সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়িনসহ সালাফদের ঘটনাবলি, তাদের পরিশ্রম ও মেহনতের কথা উল্লেখ করেন।
ফতী আব্দুল মজিদ বলেন, আমাদের আকাবিরের প্রায় সবাই খতমে নবুওয়াত নিয়ে কাজ করে গেছেন। বিশেষত ভারত উপমহাদেশে মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানির ভ্রান্ত মতবাদের খণ্ডনে উলামায়ে দেওবন্দ নিজেদেরকে কুরবান করেছিলেন। যদ্দরুণ ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট কাদিয়ানিদের কাফের বলে ঘোষণা করে।
এছাড়াও তিনি ‘ভাওয়ালপুরের বাহাসে’ আল্লামা কাশ্মিরী রহ. এর লা-জবাব বক্তব্যের কথা এবং তাদেরকে পরাজিত করার ঘটনাও সবিশেষ উল্লেখ করে প্রায় দু-ঘন্টাব্যাপী দালিলিক ও যৌক্তিকভাবে আকিদায়ে খতমে নবুওয়াতের ওপর আলোচনা পেশ করেন।
মজলিসের শুরুতে ‘আহলে কুরআন’ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত ও তথ্যবহুল আলোচনা পেশ করেন মারকাযুদ দাওয়াহর মুতাখাসসিস মাওলানা মুনযিরুল হক। তিনি তাঁর বয়ানে বলেন: আহলে কুরআনদের প্রধান দাবি হলো ‘শুধু কুরআনের মধ্যে আসলেই ঐক্য সম্ভব, এছাড়া ঐক্যে সম্ভব নয়। অথচ বাস্তবতা হলো, তাদের নিজেদের মধ্যেই মৌলিক বিষয়ে এতো ইখতেলাফ রয়েছে, যা তাদের দাবিকেই অসাড় বলে প্রমাণিত করে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কাজিরবাজার মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ, সিয়ানাহ ট্রাস্টের আমির মুফতি জিয়াউর রহমান, সদস্য সচিব মাওলানা সাদিকুর রহমান, শূরা সদস্য মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মনসুর, সাহাবা আইডিয়াল স্কুলের প্রিন্সিপাল মাওলানা মোবারক হোসাইন ও জামেয়ার আসাতিযায়ে কেরাম এবং ছাত্রবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছরই জামেয়ার ছাত্র সংসদের উদ্যোগে ‘আশুরা’ দিবসে ইলমি-ফিকহি ও ফেরাকে বাতেলা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহাযারা অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়ে থাকে।
এমএইচ/