সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

গোপালগঞ্জে এনসিপি-আওয়ামী সংঘর্ষে নিহত ৪, ২২ ঘণ্টার কারফিউ জারি


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে দিনভর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনায় পুরো শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বুধবার (১৫ জুলাই) রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মোট ২২ ঘণ্টার কারফিউ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার এনসিপি (ন্যাশনাল কনসেনসাস পার্টি)-র পূর্বঘোষিত কর্মসূচিকে ঘিরে সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়াতে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গোপালগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে এনসিপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে তা রক্তক্ষয়ী রূপ নেয়।

সংঘর্ষে এ পর্যন্ত অন্তত ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয়রা। আহত হয়েছেন আরও অনেক। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিচয় বা সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়নি।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা প্রশাসন বুধবার রাত থেকে শহরে কারফিউ ঘোষণা করে। শহরের প্রবেশপথগুলোতে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কারফিউ চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে টহল দিচ্ছে। মাইকিং করে জনগণকে বাইরে না বের হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

তবে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষজন জরুরি প্রয়োজনে রাস্তায় বের হতে দেখা গেছে। শহরে লোকজনের চলাচল তুলনামূলকভাবে কম। মাঝে মাঝে দুই-একটি রিকশা চলাচল করছে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সংঘর্ষ, মামলা বা গ্রেপ্তারের বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো মন্তব্য না করে বলেন, "পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় যা যা প্রয়োজন, তা করা হবে।"

এদিকে, পুরো শহরে সংঘর্ষ পরবর্তী থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ