সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই, বন্যা আশঙ্কায় নদীপাড়ে আতঙ্ক


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। রোববার (২০ জুলাই) সকাল ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার মাত্র ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে বন্যার আশঙ্কা।

স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, পানি আরও বাড়তে থাকলে যে কোনো সময় বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এ অবস্থায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাদল বলেন, “গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। অনেক চরের ফসলি জমি ইতোমধ্যে পানির নিচে তলিয়ে গেছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।”

স্থানীয় বাসিন্দা কুদ্দুস মিয়া বলেন, “আমরা তিস্তা পাড়ের মানুষ, প্রতিনিয়ত ভাঙন আর বন্যার ভয় নিয়ে বাঁচি। বর্ষা এলেই ভারতের গজলডোবা ব্যারেজ থেকে হঠাৎ পানি ছাড়া হয়, তখনই তিস্তা ভেসে যায়।”

তিস্তা ব্যারেজ কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ নুরুল ইসলাম জানান, “উজানের ঢল অব্যাহত রয়েছে। তাই রোববার ভোর থেকে পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানি বিপদসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে পানি নিয়ন্ত্রণে।”

তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, “আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। চরের মানুষদের সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন হলে আশ্রয়কেন্দ্রও খুলে দেওয়া হবে।”

এদিকে বন্যার শঙ্কায় নদীপাড়ের মানুষজন তাদের ঘরবাড়ি ও গবাদিপশু রক্ষায় নানা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ত্রাণ বিভাগও দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সংস্থা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ