সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

বিমানের জ্বালানি সরবরাহের সুইচ বন্ধ করেছিলেন ক্যাপ্টেন: তদন্ত কর্মকর্তারা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গত মাসে ভারতের আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের ককপিটে  দুই পাইলটের কথোপকথনের রেকর্ডিংয়ে নতুন তথ্য পাওয়া গেছে। সেখানে ইঙ্গিত রয়েছে, ক্যাপ্টেন নিজেই বিমানটির ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহের সুইচ বন্ধ করে দেন।

বুধবার এক প্রতিবেদনে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদেনে জানা যায়, ১২ জুন ভারতের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ২৬০ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে পাওয়া প্রমাণাদি মূল্যায়ন করেছেন। এ সম্পর্কিত তথ্য আছে এমন লোকজনের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্ট অনুযায়ী, বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড্ডয়নের পরই ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্ডার জিজ্ঞেস করেন, কেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাবারওয়াল জ্বালানি কাট-অফ সুইচ বন্ধ করে দিলেন। তখন তিনি ভীষণ শঙ্কিত হয়ে পড়েন, কিন্তু ক্যাপ্টেন ছিলেন শান্ত। তাদের যথাক্রমে ১৫ হাজার ৬৩৮ ঘণ্টা এবং ৩ হাজার ৪০৩ ঘণ্টা বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা ছিল।

ভারতের এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর (এআইআইবি) প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য মতে, বিমানটি আকাশে ওঠার কয়েক মুহূর্তে মধ্যেই মাত্র এক সেকেন্ডের ব্যবধানে দুটি ইঞ্জিনের জ্বালানি কন্ট্রোল সুইচ বন্ধ হয়ে যায়। উড্ডয়ন থেকে ক্র্যাশ পর্যন্ত সময় ছিল মাত্র ৩২ সেকেন্ড।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের ওই প্রতিবেদন বিষয়ে মন্তব্যের জন্য বার্তা সংস্থা রয়টার্স ভারতের এএআইবি, সিভিল এভিয়েশন মহাপরিদপ্তর, সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রণালয়, এয়ার ইন্ডিয়া এবং দুটি ভারতীয় পাইলট ইউনিয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া পাওয় যায়নি। আর বোয়িং এবিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

শনিবার ভারতের এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি) প্রকাশিত এক প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, উড্ডয়নের ঠিক পরপরই ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহের সুইচগুলো ‘রান’ (চালু) থেকে ‘কাট-অফ’ (বন্ধ) অবস্থায় চলে যায়। তবে কীভাবে সুইচগুলো পাল্টে গেল, সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু বলা হয়নি। দুই ইঞ্জিনের জ্বালানির সুইচ আবার ‘রান’ করা বা চালু করা হয় এবং উড়োজাহাজটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইঞ্জিন দুটি পুনরায় সচল করার চেষ্টা করে বলেও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এমন প্রতিবেদন প্রকাশের পর, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) এবং বোয়িং নিজেদের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছে, বোয়িং উড়োজাহাজের জ্বালানি সুইচে ব্যবহৃত লকগুলো নিরাপদ। রয়টার্স এমন তথ্যসংবলিত একটি নথি দেখেছে এবং বিষয়টি সম্পর্কে অবগত চারটি সূত্রও তা নিশ্চিত করেছে।

এমএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ