পাকিস্তান থেকে সদ্য ফিরে আসা এক আফগান নাগরিক কান্দাহার প্রদেশে একটি ছোট পরিসরের সাবান কারখানা চালু করেছেন। পরিবারসহ প্রতিদিন প্রায় ৫০ কেজি সাবান উৎপাদন করলেও, কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করতে তিনি সরকারি সহায়তা প্রত্যাশা করছেন।
কারখানাটির ব্যবস্থাপক ও উদ্যোক্তা ওবায়দুল্লাহ জানান, কান্দাহারের ডিস্ট্রিক্ট-২ এলাকায় ভাড়া বাড়িতে তিনি প্রায় ৬ লাখ আফগানি বিনিয়োগে একটি লন্ড্রি সাবান কারখানা স্থাপন করেছেন।
তিনি বলেন,
“আমার পণ্যের মান ভালো, বাজারে চাহিদা রয়েছে, গ্রাহকও অনেক। কিন্তু আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে উৎপাদন বাড়াতে পারছি না। সরকার যদি সহায়তা করে, আমরা বড় পরিসরে কাজ করতে পারব।”
কারখানায় কাজ করা তার কন্যা হানফিয়া জানান,
“আমি পড়াশোনার পাশাপাশি বাবার সঙ্গে কারখানায় কাজ করি। সরকার আমাদের সহায়তা করলে আমরা আরও এগিয়ে যেতে পারব।”
আরেক শ্রমিক হানজালাও সরকারের প্রতি সহায়তার আহ্বান জানিয়ে বলেন,
“আমরা এখানে সাবান তৈরি করি। আমাদের মতো উদ্যোক্তাদের সহায়তা করলে কর্মসংস্থানও বাড়বে।”
এ বিষয়ে কান্দাহার শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন অধিদপ্তরের প্রত্যাবর্তন ও পুনঃএকত্রীকরণ বিভাগের প্রধান নিয়ামতুল্লাহ ওলফাত বলেন,
“আমাদের কাছে আসা প্রত্যাবর্তনকারী উদ্যোক্তারা আবেদন জমা দিলে, আমরা সরকার ও বিভিন্ন দাতা সংস্থার মাধ্যমে তাদের সহায়তা করি। এতে তারা ব্যবসায় এগিয়ে যেতে পারে।”
সরকারি কর্মকর্তাদের মতে, ইরান ও পাকিস্তান থেকে যেসব দক্ষ আফগান স্বদেশে ফিরছেন, তাদের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে ইসলামিক আমিরাতের অধীনে সীমান্তবর্তী এলাকায় সক্রিয় রয়েছে বিভিন্ন কমিটি।
ক্ষুদ্র উদ্যোগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের জন্য এমন উদ্যোক্তাদের সরকারি সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে—বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
এনএইচ/