পাকিস্তানে চলমান ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২০২ জন। চলতি বছরের জুনের শেষ দিক থেকে শুরু হওয়া বর্ষা মৌসুমের এ দুর্যোগে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৯৬ জনই শিশু।
শনিবার (২০ জুলাই) পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ)-এর বরাত দিয়ে জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি—১২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে পাঞ্জাব প্রদেশে।
এছাড়া খাইবার পাখতুনখাওয়ায় ৪০ জন, সিন্ধু প্রদেশে ২১ জন, বেলুচিস্তানে ১৬ জন এবং ইসলামাবাদ ও আজাদ কাশ্মীরে একজন করে প্রাণ হারিয়েছেন।
প্রাণহানির প্রধান কারণ হিসেবে বাড়িঘর ধস, ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যাকে দায়ী করা হয়েছে।
এর মধ্যে ১১৮ জন বাড়িঘর ধসে, ৩০ জন আকস্মিক বন্যায় এবং বাকিরা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, বজ্রপাত ও নদীতে ডুবে মারা গেছেন।
এ বন্যায় এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন অন্তত ৫৬০ জন, যাদের মধ্যে ১৮২ জন শিশু।
রাওয়ালপিন্ডিতে আকস্মিক বন্যায় বহু ঘরবাড়ি, বাজার ও সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। ধামিয়াল, হাতিচক ও মর্গাহসহ কয়েকটি এলাকা পুরোপুরি প্লাবিত হয়েছে। টেঞ্চ ভাটা ও ফৌজি কলোনিতে পানি উঠে গেছে বাড়ির ছাদ পর্যন্ত।
ফয়সালাবাদে শুধু গত দুদিনে ১১ জন নিহত এবং ৬০ জন আহত হয়েছেন। দুর্বল অবকাঠামো ও বাসগৃহ ধসে এই প্রাণহানি ঘটেছে বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার, ত্রাণ ও মেরামতের কাজ অব্যাহত রয়েছে।
ঝিলাম, পিণ্ড দাদন খান, কাল্লার কাহারসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্ধ রাস্তাগুলো পুনরায় চালু করতে কাজ চলছে।
রাওয়ালপিন্ডির কারোলি ধোক ব্রিজ এলাকায় ধসে যাওয়া রাস্তায় মেরামত শেষে যান চলাচল আবার শুরু হয়েছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বহু পরিবার জানিয়েছে, তারা নিজেরাই ঘর মেরামতের মতো আর্থিক সামর্থ্য রাখে না। তাই সরকারের কাছে তারা জরুরি সহায়তার আবেদন জানিয়েছে।
এনএইচ/