পারস্য উপসাগরে মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি রণতরীর গতিপথ পরিবর্তনে বাধ্য করেছে ইরানের সেনাবাহিনী। বুধবার, উপসাগরে মার্কিন ওই রণতরীর মুখোমুখি হয়ে ইরানের সামরিক বাহিনী তাকে তার পথ বদলাতে বাধ্য করে বলে দাবি করেছে তেহরান। বৃহস্পতিবার, ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এটি ঘটেছে, এক মাস আগে ইরানের পারমাণবিক তিনটি স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ঘটনার পর, যখন ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা কমেনি। তেহরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে মার্কিন রণতরী ইউএসএস ফিটজেরাল্ড ইরানের নজরদারি অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করে।
এসময়, ইরানের সেনাবাহিনীর একটি উড়োজাহাজ থেকে রণতরীটিকে সতর্ক করা হয়। তবে মার্কিন রণতরী পাল্টা হুমকি প্রদান করে। ইরানি সংবাদমাধ্যমের দাবি, মার্কিন রণতরী থেকে হুমকি দেয়ার পরও ইরানি পাইলট দৃঢ়তার সঙ্গে মিশন চালিয়ে যান এবং মার্কিন রণতরীকে ইরানি জলসীমা থেকে দূরে থাকার জন্য পুনরায় সতর্ক করে দেন।
পরে, ইরান তার সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে মার্কিন রণতরীকে উপসাগরের দক্ষিণ দিকে গমন করার জন্য নির্দেশ দেয়। এক পর্যায়ে, ওই রণতরীকে পথ পরিবর্তন করতে বাধ্য করা হয়।
তবে, ইরানের সামরিক বাহিনীর এই দাবির ব্যাপারে মার্কিন নৌবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কোন মন্তব্য করেনি। উপসাগরে ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘাতের ইতিহাস রয়েছে। এর আগে, ২০২৩ সালে হরমুজ প্রণালী অতিক্রমের সময়, যুক্তরাষ্ট্রের একটি সাবমেরিনকে পানির ওপর উঠে আসতে বাধ্য করার দাবি করেছিল তেহরান, যদিও ওয়াশিংটন এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
সূত্র: এএফপি
এমএইচ/