আফগানিস্তানে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর জেনারেল ডিরেক্টরেট তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে গত এক বছরে বিনিয়োগে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিস্তারের ঘোষণা দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪৪টি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানে সক্রিয় এই অধিদপ্তর দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এসব উদ্যোগের ফলে ২০ বিলিয়নেরও বেশি আফগানি মূল্যের বিনিয়োগ এসেছে দেশটিতে।
জেনারেল ডিরেক্টর আহমেদ জান বিলাল বলেন, “রাষ্ট্রায়ত্ত খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে ৫০টি বিনিয়োগ-সুবিধা চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব প্রকল্পের প্রক্রিয়া সহজ করতে পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।”
তিনি জানান, গত বছর বেসরকারি খাতের সঙ্গে ২৩টি অংশীদারিত্ব চুক্তি বাস্তবায়িত হয়েছে বা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, যার আওতায় প্রায় ৩২ বিলিয়ন আফগানির বিনিয়োগ হচ্ছে।
একই সঙ্গে, ১৪টি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের মূল্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে, যেগুলোর সম্মিলিত সম্পদমূল্য আনুমানিক ১২১ বিলিয়ন আফগানি। এই প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে ভবিষ্যতে প্রায় ৩২ বিলিয়ন আফগানি রাজস্ব আয়ের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ খাতে অগ্রগতি
জ্বালানি খাতেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ব্রেশনা কোম্পানির প্রধান আব্দুল বারী ওমর জানান, গত বছর প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
তিনি বলেন, “আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে, ইনশাআল্লাহ, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি ৮০ শতাংশ পর্যন্ত উন্নত হবে। আমাদের বিদ্যমান নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অধিকাংশ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে।”
তেল ও গ্যাসে নতুন পরিকল্পনা
তেল ও গ্যাস কোম্পানিও দেশীয় সম্পদ ব্যবহারে নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ নাসির রহিমি জানান, “বর্তমানে দৈনিক তেল উৎপাদন ৬০০ থেকে ৭০০ টনের মধ্যে, তবে নতুন কূপ খননের পর উৎপাদন আরও বাড়বে।”
এই সকল উন্নয়নমূলক উদ্যোগ আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাতের অর্থনৈতিক অগ্রাধিকার এবং দেশের কৃষি, বাণিজ্য ও সম্পদ ব্যবস্থাপনায় বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বাড়ানোর প্রতিফলন।
এনএইচ/