এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চলমান অবরোধ ও সামরিক আগ্রাসনের পটভূমিতে গাজায় আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইসরায়েল। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, এই নিষেধাজ্ঞা গাজায় চলমান গণহত্যা ও দুর্ভিক্ষের সত্যচিত্র আড়াল করার ষড়যন্ত্র।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক বিবৃতিতে গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, “ইসরায়েল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে গাজায় প্রবেশ করতে না দিয়ে প্রমাণ করেছে—তারা সত্য প্রকাশে ভয় পায়। তাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার—গণহত্যা ও মানবিক বিপর্যয়ের বাস্তবতা ঢেকে রাখা।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজায় দুর্ভিক্ষের বাস্তবতা অস্বীকার করে একদিকে মিথ্যাচার করছে, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের বাধা দিয়ে তথ্য গোপনের অপরাধ করছে। এটি একটি সুপরিকল্পিত জাতিগত নিধনের অংশ।”
মিডিয়া অফিস আরও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেছে: “সাহস থাকলে সীমান্ত খুলে দাও, গণমাধ্যমকে ঢুকতে দাও — সত্য নিজেই কথা বলবে।”
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর ২০২৩ থেকে এখন পর্যন্ত অপুষ্টিজনিত কারণে কমপক্ষে ১৪৭ জন শহীদ হয়েছেন, যার মধ্যে ৮৮ জন শিশু। একই সময়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছেন ৬০,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
এছাড়া সোমবার দুটি ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠন—B’Tselem এবং Physicians for Human Rights–Israel—এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েলকে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত করে বলে, “ইসরায়েল গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংস করছে। এটি একটি কাঠামোগত সমাজ ধ্বংসের প্রক্রিয়া।”
প্রসঙ্গত, ১৮ বছর ধরে অবরুদ্ধ গাজায় মার্চ ২০২৫ থেকে সব ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল, যার ফলে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো একেবারে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এতে প্রায় ২৪ লক্ষ মানুষের জীবন গভীর সংকটে পড়েছে।
এনএইচ/