শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ ।। ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৩ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
খাবার গ্রহণের আগে দোয়া: অকল্যাণ দূর, বরকত বৃদ্ধি আজ সোহরাওয়ার্দীতে মহাসমাবেশ, ইতিহাস গড়তে চায় ইসলামী আন্দোলন ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসনের প্রতিবাদে নেত্রকোনায় খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ সমাবেশ আওয়ার ইসলাম: পাঠকের চিন্তা ও চর্চার নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিসের সমাবেশ থেকে বিশ্ব মুসলিমকে ঐক্যের আহ্বান রাজধানীতে ১০ লাখ গাছ লাগাবে জামায়াত মুসলিম ভূখণ্ডে ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের পথে, বাংলাদেশের সঙ্গে নতুন পানি চুক্তির উদ্যোগ ভারতের প্রস্তুত হচ্ছে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ মঞ্চ ‘কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুবকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে’

পরিকল্পিত খুনের শিকার ইমাম রইজ উদ্দিন!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গাজীপুরের পুবাইলে এক কিশোরকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ইমাম রইজ উদ্দিনের খুনের ঘটনাটি দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। এটাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে দাবি করেছে তার পরিবার।  এ ঘটনায় সোমবার রাতে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ওই ইমামের স্ত্রী থানায় মামলা করেছেন।

মারা যাওয়া ওই ইমামের নাম রইজ উদ্দিন (৩৫)। তিনি কুমিল্লার বাসিন্দা। থাকতেন গাজীপুর নগরের গাছা থানা এলাকায়। স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। গত রোববার সকালে এক কিশোরকে ধর্ষণের অভিযোগে তাঁকে আটক করে গাছে বেঁধে পিটুনি দেন স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে ওই দিন আদালতের মাধ্যমে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠায়। ওই রাতেই তিনি মারা যান।

ইমামের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর স্ত্রী সাজেদা আক্তার বাদী হয়ে পুবাইল থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২৫ থেকে ৩০ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী রইজ উদ্দিন চার মাস ধরে ওই মসজিদের ইমাম ও খতিব। প্রথম দুই মাস বাড়িতে থেকে মসজিদে যাতায়াত করতেন। পরে মসজিদ কমিটি মসজিদের তিনতলায় তাঁর থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। তাঁর স্বামী জুমার নামাজসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে স্থানীয় মুসল্লিদের কোরআন-হাদিসের বয়ান দিতেন। তবে এলাকায় দুটি পক্ষ থাকায় একপক্ষ বয়ান পছন্দ করলেও অন্য পক্ষ হিংসা-বিদ্বেষ করত। ওই পক্ষ তাঁর স্বামীকে মসজিদ থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করছিল।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিরোধী পক্ষের একজনের ছেলেকে বলাৎকারের (ধর্ষণ) নাটক সাজিয়ে স্বামীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়। বিবাদীরা তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে বুক, পিঠ, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। একপর্যায়ে মাথার চুল কেটে জুতার মালা গলায় দেন এবং মোবাইলে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।

লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, ঘটনার বিষয়টি পরিবারকে না জানিয়ে চার ঘণ্টা পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অতিরিক্ত মারধরের কারণে ওই দিন রাতেই কারাগারে তাঁর স্বামী মারা যান।

 এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ