ইসলামপন্থীদের আপত্তি ও আন্দোলন উপেক্ষা করেই অন্তর্বর্তী সরকার তার সিদ্ধান্তে অনড় রইল। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় চালুর ব্যাপারে চুক্তিতে সই করল সরকার। এর মধ্য দিয়ে তিন বছরের জন্য বাংলাদেশে সংস্থাটির আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু হলো।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকালে জাতিসংঘ সদর দফতরে এই চুক্তি সই হয়।
এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ ১৬টি দেশের কাতারে যুক্ত হলো, যেখানে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল পূর্ণাঙ্গ ম্যান্ডেট নিয়ে কান্ট্রি অফিস পরিচালনা করে। বর্তমানে এই ধরনের অফিস রয়েছে বুরকিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, চাদ, কলম্বিয়া, গুয়াতেমালা, গিনি, হন্ডুরাস, লাইবেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মেক্সিকো, নাইজার, ফিলিস্তিন, সিরিয়া প্রভৃতি দেশে।
মানবাধিকার কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এ ধরনের অফিসের মূল লক্ষ্য হলো সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে সরাসরি কাজ করে মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ, সুরক্ষা এবং উন্নয়ন নিশ্চিত করা। এই কার্যক্রমে সরকারের পাশাপাশি নাগরিক সমাজ, মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তি ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনার পাশাপাশি কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হয়।
এর আগে গত ১৭ জুলাই ঢাকায় তিন বছরের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের একটি মিশন স্থাপনের বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। তবে ইসলামপন্থী দলগুলোসহ বিভিন্ন মহল থেকে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা হয়। প্রতিবাদে কর্মসূচিও পালন করে দলগুলো।
এসএকে/