রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামী শনিবার (১৯ জুলাই) জাতীয় সমাবেশ আয়োজন করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এই উপলক্ষে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীদের জন্য একাধিক নির্দেশনা জারি করেছে দলটি।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মিয়া গোলাম পরওয়ার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সমাবেশসংক্রান্ত নির্দেশনা:
১. সবাইকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত হয়ে মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ করতে হবে।
২. আমিরে জামায়াতের বক্তব্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ নিজ স্থান ত্যাগ করবেন না।
৩. বৃষ্টি হলেও অবস্থান ধরে রাখতে হবে।
৪. জাতীয় পতাকা ছাড়া অন্য কোনো পতাকা প্রদর্শন করা যাবে না।
৫. মিছিল আনার সময় কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে স্লোগান দেওয়া যাবে না।
৬. যাতায়াত ও সমাবেশস্থলে প্রবেশে বয়স্ক ও শিশুদের (যদি থাকে) অগ্রাধিকার দিতে হবে।
৭. উদ্যানে ১৫টি মেডিকেল বুথ ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসক থাকবে। অসুস্থ হলে চিকিৎসা নিতে পারবে।
৮. অভ্যর্থনা কেন্দ্র ও মাঠে স্বেচ্ছাসেবক থাকবে; তাদের নির্দেশনা মানতে হবে।
৯. প্রত্যেকে সঙ্গে প্রয়োজনীয় পরিমাণ খাবার ও পানির বোতল রাখতে উৎসাহিত করা হয়েছে।
১০. সমাবেশ শেষে দ্রুত সভাস্থল ত্যাগ করতে হবে।
গাড়ি পার্কিং নির্দেশনা:
১. গাড়ির সামনে স্টিকার থাকতে হবে, যেখানে অঞ্চলের নাম, ড্রপিং পয়েন্ট, পার্কিং স্থান, ড্রাইভার ও দায়িত্বশীলের নাম-নম্বর উল্লেখ থাকবে।
২. প্রতিটি শাখার গাড়িগুলো একসঙ্গে রওনা দেওয়ার চেষ্টা করবে।
৩. ঢাকার কোনো ফ্লাইওভার ব্যবহার না করার নির্দেশনা রয়েছে।
৪. গাড়ি নির্ধারিত ড্রপিং পয়েন্টে নামিয়ে নির্দিষ্ট পার্কিং এলাকায় রাখার নির্দেশ।
৫. সকাল ১০টার মধ্যে সব গাড়িকে ড্রপিং পয়েন্টে পৌঁছাতে বলা হয়েছে।
৬. কোনো গাড়ি নির্ধারিত স্থানে না পৌঁছালে কাছাকাছি স্থানে রেখে সেখান থেকেই প্রস্থান করতে হবে।
৭. সম্ভব হলে নিজস্ব পার্কিং স্থানে গাড়ি রাখার পরামর্শ।
৮. গাড়ি পার্কিংয়ে সিঙ্গেল লাইনে পার্ক করে প্রবেশ-প্রস্থান পথ খোলা রাখতে হবে।
৯. ট্রাফিক ও স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
১০. সায়েদাবাদ, পোস্তগোলা, কদমতলী, মাতুয়াইল, কমলাপুর রেলস্টেশন, গাবতলী, মহাখালী, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, উত্তরা আজমপুর ও সদরঘাটে মোট ১০টি অভ্যর্থনা কেন্দ্র থাকবে— যেখান থেকে প্রয়োজনে সহায়তা পাওয়া যাবে।
এনএইচ/