গত বছরের জুলাই আন্দোলনে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা যে বিশাল ভূমিকা রেখেছিলেন সেটা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেছেন সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা। বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে মাদরাসাপড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়ে আগামী দিনে দেশ গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তারা।
সোমবার (২১ জুলাই) কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ আয়োজিত যাত্রাবাড়ীর জামিয়া মাহমুদিয়া মাদরাসা সংলগ্ন ঢাকা সিলেট হাইওয়েতে ‘মাদরাসা রেজিস্ট্যান্স ডে-২০২৫’ উপলক্ষে বক্তারা এসব কথা বলেন।
তবে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত আকারে করা হয়েছে।
চব্বিশের ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মাদরাসার ছাত্র ও আলেম সমাজ সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। যার কারণে মাদরাসার ছাত্র ও আলেম সমাজ ইতিহাসে অনন্য হয়ে আছেন। সেই বীরত্বগাঁথা স্মরণে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয় ‘মাদরাসা রেজিস্ট্যান্স ডে-২০২৫’।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যাত্রাবাড়ী ছিল প্রতিরোধের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি। এখানে অনেক ছাত্র জনতা আহত ও নিহত হয়েছেন। মাদরাসা ছাত্র ও আলেম সমাজের আত্মত্যাগকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ও তাদের অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের জন্য কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্যগণ স্মৃতিচারণ করেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীগণ বক্তব্য রাখেন। সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ছিল হামদ, নাত, কবিতা আবৃত্তি, প্রতিবাদী গান পরিবেশন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম।
অনুষ্ঠানে কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব, ড. খ ম কবিরুল ইসলাম বলেন, চব্বিশের ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মাদরাসার ছাত্র ও আলেম সমাজের বীরত্বপূর্ণ অবদানকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে আজকের এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন আজ ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় অনেক আহত ও নিহত হয়েছে। আমাদের আজকের মাদরাসা শিক্ষার্থীদের অভ্যুত্থানের অবদান স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হয়েছে। আমরা পরবর্তীতে আরও বড় একটি প্রোগ্রাম করব। আগামীকাল রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে সরকারিভাবে। মাদরাসা ও মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয় অসাধারণ মোতাবেক প্রার্থনা করা হবে।
এমএইচ/