ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ী এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে শিক্ষার্থীসহ কয়েকজন হতাহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁরা নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।
দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপির সিনিয়র নেতারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেখানে যান দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক ও 'আমরা বিএনপি পরিবার'-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনসহ একাধিক অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী।
বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনার পর থেকে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে মাঠে নেমে পড়েন বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা। লন্ডন থেকে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতির খোঁজ রাখছেন তারেক রহমান।
এদিকে বিমান দুর্ঘটনাসহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় গতরাতে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক করে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠকে উত্তরার দুর্ঘটনায় গভীর শোক জানিয়ে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয় এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করা হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্যরা—ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান, ড. আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলীয় সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের দুর্ঘটনায় হতাহতদের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। বিশেষ করে যারা চিকিৎসাধীন, তাদের পাশে থেকে সহযোগিতার পাশাপাশি রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান।
এনএইচ/